ছুটির বদলে আজ, দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। সেই সঙ্গে কচিকাঁচাদের জন্য স্কুলে বিশেষ মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করতে জেলা স্কুল পরিদর্শক নির্দেশ দেন। বুধবার স্কুলে স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন নিয়ে শিক্ষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। জাতীয় পতাকার লাঠি বা বাঁশে রঙিন কাগজ লাগানো, বেদি তৈরি থেকে সর্বশিক্ষা মিশন নির্দেশিত প্ল্যাকার্ড তৈরিতে খুদে পড়ুয়ারাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল দেখার মত। জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারম্যান বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “স্কুলগুলিতে প্রভাতফেরি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু ৯টা নাগাদ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর মিড ডে মিলে বিশেষ মেনুর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।” আর জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক পঙ্কজ সরকার বলেন, “জেলা জুড়ে ১২০০ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের সকালে স্কুলে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। হাজিরা খাতায় তাঁরা সই করতে পারবেন।” এরই মধ্যে মিডডে মিলের হাল হকিকৎ খতিয়ে দেখতে ১৭ অগস্ট জেলায় আসছে কেন্দ্রীয় তদারকি দল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত ৩৫জন সদস্য নিয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় দলটি আগামী ২৪ অগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে খোঁজ খবর নেবেন। বিহারের ঘটনার মাথায় রেখে ওই সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে স্কুল সংসদ সূত্রের খবর। এই উপলক্ষে কোনও স্কুলে মাংস-ভাত, কোথাও ডিম-ভাতের আয়োজন করছেন শিক্ষকেরা। আর তা করতে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষকদের বক্তব্য, ডিম, পেঁয়াজ ও আদার দাম এক লাফে বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাতে বাজেটে কিছু সমস্যা হচ্ছে। |