জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠকে প্রধান নির্বাচন করায় তুফানগঞ্জের বালাভূতে দলের অঞ্চল কমিটি ভেঙে দিল তৃণমূল। বুধবার এই ঘটনার জেরে শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন তৃণমূলের বালাভূত অঞ্চল কমিটির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি আইনুল হক মিঁয়াও। দলীয় সূত্রে খবর, আইনুলবাবুকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ করেছেন তুফানগঞ্জ-১ ব্লক সভাপতি ফজল করিম মিঁয়া। দল সূত্রে খবর, বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের সবকটিতেই তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হন। বুধবার পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচিত সদস্যরা পঞ্চায়েত দফতরে যান। জেলা নেতৃত্বের তরফে আফতার আলিকে প্রধান ও আলপনা রায়কে উপপ্রধান করার জন্য লিখিত নির্দেশ পাঠানো হয়। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে আফতারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন নুরুজ্জামাল ব্যাপারি। ভোটাভুটিতে ৮-৪ ভোটে জয়ী হন নুরুজ্জামাল ব্যাপারি। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-১ ব্লক সভাপতি ফজল করিম মিঁয়া বলেন, “নুরুজ্জামাল দলের অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অঞ্চল সভাপতি দলের নির্দেশ অমান্য করে তাঁকে প্রধান করেছেন। বিষয়টি জানবার পরেই দলের বালাভূত অঞ্চল কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আইনুল হক মিঁয়াকে দলবিরোধী কাজে বহিষ্কার করতে জেলা কমিটিকে সুপারিশ করা হয়েছে।” জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বালাভূত অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আইনুল হক মিঁয়া অবশ্য দাবি করেছেন ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তিনি এ দিন বলেন, “নির্বাচিত সদস্যরা ভোটাভুটি করে প্রধান নির্বাচন করেন। তাতে জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ মানা হয়নি ঠিকই। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে উপপ্রধান হিসাবে আলপনা রায় সর্বসম্মত ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।”
বালাভূতে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এলেও তৃণমূল নেতৃত্ব তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের ঘটনায় স্বস্তিতে। ত্রিশঙ্কু ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৫টি সিপিএম, ৩টি এবং কংগ্রেস ২টি আসন পায়। এদিন প্রধান নির্বাচনে ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। সর্বসন্মতভাবে প্রধান হন তৃণমূলের যতীন বর্মন। দলের ব্লক নেতৃত্বের দাবি, এক সিপিএম সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ফলে পঞ্চায়েত তাঁদের দখলে গিয়েছে। |