প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর বিরুদ্ধে কলেজে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। বুধবার দুপুরে পরীক্ষা চলাকালীন একদল এসএফআই সমর্থক মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের ঘরে ঢোকেন। অধ্যক্ষ সরজেন্দ্রনাথ কর জানান, ওই পড়ুয়ারা আমার ঘরে ঢুকে তাণ্ডব জুড়ে দেয়। আছড়ে ফেলে দেয় ঘরের টেলিফোনটি। ঘরের বাইরে রাখা বেশ কয়েকটি ফুলের টবও তছনছ করে ওই ছাত্ররা। অধ্যক্ষ কলেজ বিশৃঙ্খলা চালানোর জন্য তিন জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। ওসি গৌরীপ্রসন্ন বন্ধু বলেন, “অভিযুক্তরা পলাতক। তল্লাশি চলছে।”
কেন এসএফআই সমর্থকরা কলেজে এমন তাণ্ডব জুড়ল?
সরজেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কলেজে এক জন কাজ করতেন। আপত্তিকর আচরনের জন্য তাঁকে কিছুদিনের জন্য আসতে নিষেধ করেছিলাম। পরে তিনি ক্ষমা চাওয়ায় আবার কাজে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসএফআই এ দিন আরেকজন কর্মীকে পুর্ননিয়োগের দাবি জানিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালাল।” অধ্যক্ষ অবশ্য সাফ জানাচ্ছেন, এসএফআই-এর কথা মত ওই কর্মীকে নিয়োগ করা সম্ভব নয়। ওই কর্মী এমনিতেই অনিয়মিত আসেন। কলেজের পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁকে কাজ দেওয়া যাবে না। তাঁকে পুর্ননিয়োগের সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র পরিচালন সমিতিই নিতে পারে। এই ঘটনায় জেলা এসএফআই নেতৃত্ব বেশ বিব্রত। সংগঠনের জেলা সভাপতি কৌশিক দত্ত অবশ্য দায় এড়িয়ে বলেন, “কলেজে কোন কর্মীকে নিয়োগ করা হবে সে বিষয়ে আমরা নাক গলায় না। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের সংগঠন জড়িত নয়। যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, এর দায় ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের নিতে হবে।” |