|
|
|
|
পঞ্চায়েত গঠন শুরু ১৭ অগস্ট |
সর্বদল বৈঠকে সহযোগিতার আবেদন নয়া জেলাশাসকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে সর্বদল বৈঠক হল মেদিনীপুরে। বুধবার কালেক্টরেটের সভাঘরে ওই বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত, পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক শম্পা হাজরা প্রমুখ।
কবে কোন এলাকার পঞ্চায়েত গঠন হবে, কী ভাবে কাজ এগোবে, তা জানানোর জন্য ওই বৈঠক। মেদিনীপুরে এসে এ দিনই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন নতুন জেলাশাসক। তিনি আগে পুরুলিয়ায় ছিলেন। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন। বৈঠকে নতুন জেলাশাসক সকলের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানান। উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও জানান, উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা পাবে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, “পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন শুরু হবে। তার আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় জানাতেই এই বৈঠক। উপস্থিত সকলের কাছেই সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়েছে।” |
|
জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক মেদিনীপুরে। —নিজস্ব চিত্র। |
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রদ্যোৎ ঘোষ, সিপিএমের পঙ্কজ চক্রবর্তী, কংগ্রেসের শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির অরূপ দাস প্রমুখ। চলতি মাসেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনের ক্ষেত্রে দু’টি দিন ধার্য্য করা হয়েছে। ১৭ অগস্ট ঝাড়গ্রাম ও ঘাটাল মহকুমার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত হবে। অর্থাৎ, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন হবে ওই দিনই। ১৯ অগস্ট মেদিনীপুর ও খড়্গপুর মহকুমার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন হবে। ৩০ অগস্ট হবে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন। অর্থাৎ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবে ওই দিন। পরে ধীরে ধীরে কর্মাধ্যক্ষ, স্থায়ী সমিতি প্রভৃতি গঠন হবে। তবে, জেলা পরিষদ কবে গঠন হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ গঠন করতে হবে। অর্থাৎ, সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় কোনও একদিন সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতি নির্বাচন হবে।
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। ফলে, যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই পঞ্চায়েতের কাজ চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। পরিস্থিতি দেখে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। ২৪ অগস্ট থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। জানানো হবে, প্রশাসন চালাতে হবে একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সহ-সভাপতিদের ভূমিকা ঠিক কী, কোন প্রকল্প রাজ্যের, কোন প্রকল্প কেন্দ্রের, কী ভাবে প্রকল্পের টাকা আসে, কী ভাবে তা খরচ হয় প্রভৃতি। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে রাজ্য থেকে যে নির্দেশিকা এসেছে, তা এ দিন উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়। বোর্ড গঠনের দিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে নির্বাচিত সদস্যরা পঞ্চায়েতে পৌঁছন, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত জানান এবং কিছু প্রস্তাব রাখেন। সমস্ত প্রস্তাব খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। |
|
|
|
|
|