|
|
|
|
যশোবন্তদের দিকে তেড়ে গিয়ে নিন্দিত কল্যাণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
গোর্খাল্যান্ড জটের সমাধান চেয়ে আজ লোকসভায় মুখ খুলেছিলেন দার্জিলিঙের প্রবীণ বিজেপি সাংসদ যশোবন্ত সিংহ। বাম ও তৃণমূল সাংসদরা একসুরে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। “শেম শেম যশোবন্ত সিংহ। আপনাকে বাংলা ভাগ করতে দেব না” বলতে বলতে তিনি কার্যত তেড়ে যান বিজেপি সাংসদদের দিকে। কল্যাণের এই ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি শিবির। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় বিজেপির হট্টগোলে লোকসভা ঘণ্টা দেড়েকের জন্য মুলতুবি করে দিতে হয়। অধিবেশন ফের শুরু হলে অবশ্য যশোবন্ত তথা বিজেপির কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কল্যাণ।
বস্তুত, মুলতুবির পর লোকসভা ফের শুরু হলে বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, “আমি আমার সাংসদ জীবনে এই ধরনের ঘটনা দেখিনি। সাংসদরা কী ভাবে প্রতিবাদ জানাবেন, তারও কিছু রীতি-নীতি রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিবাদের ধরন সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস, কল্যাণবাবু যে দলের সাংসদ, তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই আচরণ মেনে নেবেন না।” সুষমার বক্তব্যকে সমর্থন জানান অন্যান্য দলের নেতারাও। সব শিবিরের চাপে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান কল্যাণ। তিনি তাঁর ব্যবহারের জন্য যশোবন্ত-সহ গোটা বিজেপি শিবিরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। বলেন, “আমার বক্তব্যে যদি প্রবীণ সাংসদ যশোবন্ত সিংহ দুঃখ পেয়ে থাকেন, তা হলে আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু আমি বা আমার দল রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে। আমরা কোনও ভাবেই বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না।” কল্যাণবাবু এমনও দাবি করেন, বিষয়টি তিনি দলনেত্রীকে জানিয়েছেন এবং তিনি কল্যাণবাবুর যুক্তি খারিজ করে দেননি।
গোর্খা নেতাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ জিরো আওয়ারে গোর্খাল্যান্ডের বিষয়টি তোলেন যশোবন্ত। তিনি বলেন, “দার্জিলিঙে লাগাতার ধর্মঘট টলছে। ফলে ওই এলাকার জনজীবন ব্যাহত হয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকারও ওই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার জন্য মোর্চা নেতৃত্বকে হুমকি দিচ্ছে।” দার্জিলিং সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানান তিনি। যশোবন্ত তাঁর বক্তব্য শেষ করার আগেই তৃণমূল ও বাম সাংসদেরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বিজেপি বাংলা ভাগের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে দু’দলেরই সাংসদরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, কিন্তু নিজেদের আসন থেকে (যাঁদের মধ্যে ছিলেন কল্যাণের সতীর্থরাও)। অথচ কল্যাণ সটান চিৎকার করতে করতে বিজেপি বেঞ্চের দিকে তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। তাঁকে কোনও মতে আটকান দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুষমা পরে বলতে ছাড়েননি যে, কল্যাণকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি যেন যশোবন্ত সিংহকে মেরেই বসবেন! |
|
|
|
|
|