তিনটি পৃথক ঘটনায় তিন নাবালিকার বিয়ে ঠেকাল গ্রামীণ পুলিশ এবং জেলার চাইল্ড লাইন। সোমবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনাগুলি ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সচেতন কিছু বাসিন্দার সহায়তায় তিন নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এখনও অধিকাংশ মানুষ সচেতন নন। জেলা সমাজকল্যাণ দফতরে সঙ্গে কথা বলে গ্রামে সচেতনা শিবির করা হবে। ওই নাবালিকাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।” ওই তিন কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, তারা পড়াশুনো করতে চায়। কিন্তু সংসারে অনটনের অভিভাবকদের কথা ভেবে বিয়েতে রাজি হয়েছিল। কিশোরীদের অভিভাবক তপন দাস, গোপাল মালি বলেন, “আমাদের মতো গরিব ঘরের মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে দিতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। ভাল পাত্র পেয়ে বিয়ে ঠিক হয়েছিল।” সোমবার রাতে বালুরঘাটের পতিরাম এলাকার এক যুবকের সঙ্গে স্থানীয় ইদ্রাকপুর এলাকার অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন পেশায় চাষি তপনবাবু। ওই রাতেই বালুরঘাট থানার কামারপাড়া এলাকার রিকশা চালক গোপালবাবু তার ১৬ বছরের মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন হিলি থানার তিওড় এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। কুমারগঞ্জ থানার বিডিও অফিস পাড়ার বাসিন্দা কৃষিজীবী সুকরা ভুঁইমালির ১৪ বছরের কিশোরী মেয়ের সঙ্গে রাতেই এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। ওই নাবালিকার বিয়ের খবর পান গ্রামীণ পুলিশের কর্মীরা। তাঁরা সংশ্লিষ্ট থানা ও ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে চাইল্ড লাইনের স্বেচ্ছাসেবকেরাও পৌঁছন। নাবালিকাদের অভিভাবকদের বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সুরজ দাস বলেন, “এলাকার একাংশ বাসিন্দা যে বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয়েছেন, এ দিন তার প্রমাণ মিলছে। কারণ তিনটি বিয়ের ঘটনার খবর বাসিন্দারাই জানান।” আইন পরিষদীয় সচিব তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “তিন কিশোরীর লেখাপড়ার বিষয়ে সমস্ত সহায়তা করা হবে।” |