জেলের মধ্যে মারামারি দুই মহিলা বন্দির
ংশোধনাগারের মধ্যে মহিলা কয়েদিদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এক মহিলা বিচারাধীন বন্দির হামলায় আরেক বিচারাধীন বন্দির মাথা ফেটে গিয়েছে। সোমবার রাত দশটা নাগাদ মালদহ জেলা সংশোধনাগারে মহিলা সেলের ভিতরে ঘটনাটি ঘটেছে। চিত্‌কার শুনে জেল রক্ষীরা গিয়ে জখম বিচারাধীন বন্দি বাংলাদেশি নাগরিক জহুরা খাতুনকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। হামলার ঘটনার পর হামলাকারী দুই মহিলাকে মহিলা সেল থেকে অন্য সেলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালদহ জেলা সংশোধনাগারে সুপার দোরজি ভুটিয়া বলেন, “বিচারাধীন মহিলা বন্দিদের মধ্যে মারপিটে একজন বিচারাধীন বন্দি জখম হয়েছে। তবে কি কারনে মহিলা কয়েদিদের মধ্যে মারপিট হয়েছিল তা দেখা হচ্ছে। বাকি বিচারাধীন বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে নভেম্বর মাসে সীমান্ত টপকে এপারে আসার সময় মহদিপুরে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশের নাগরিক দুইবোন ২২ বছরের জহুরা খাতুন ও ২০ বছরের লিজা খাতুন। প্রায় দশ মাস ধরে অন্য দশজনের সঙ্গে তাঁরা জেলে আছেন। হাসপাতালে ভর্তি জখম জহুরা খাতুন বলেন, “তিনদিন আগে সেলে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার কান থেকে একজোড়া সোনার দুল চুরি হয়েছিল। সুপারকে অভিযোগ করেছিলাম। দুই জনের নামও বলেছিলাম। বিষয়টি শোনার পর দুইজন নানাভাবে উত্যক্ত করছিলেন। ওই রাতে শোওয়ার পর কটুক্তি করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে ওরা আমার উপর চড়াও হয়। সেলের ভিতরে বাচ্চাদের একটি খেলনার লোহার রড দিয়ে মাথায় মারে।” ঘটনার সময় সেলের অন্য মহিলারা চিত্‌কার করায় রক্ষীরা বিষয়টি টের পান। এই ঘটনা জেল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশ-প্রশাসনে বলা হয়নি বলে অভিযোগ। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “জেল কর্তৃপক্ষ এখনও কিছুই জানায়নি।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.