কারবার বন্ধ করে দেওয়ার নোটিশ টাঙিয়ে রাতে জিনিস গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি শপিংমলের ম্যানেজার এবং কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ির সেবক রোডে এক শপিংমলে ঘটনাটি ঘটেছে। কর্মীদের অভিযোগ, রাতে শপিংমলের পাহারার দায়িত্বে ছিলেন হেমন্ত মুণ্ডা এবং রাজীব ওরাঁও। এই দু’জনকে বেঁধে রেখে সমস্ত কিছু নিয়ে গিয়েছে তাঁরা। সোমবার রাতের ঘটনার পরে এ দিন সকাল থেকে শপিংমলের সামনে ধর্নায় বসেন কর্মীরা। ভোর রাতে বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে যান স্থানীয় কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বকেয়া টাকা না দিয়েই শপিংমল বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছেন মালিক পক্ষের লোকেরা। বিষয়টি জানিয়ে শিলিগুড়ি থানায় ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে কর্মীদের তরফে। অভিযোগ, আগাম নোটিশ ছাড়া শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের ২ মাসের বেতন বাকি রয়েছে। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মীরা। তাঁদের দাবি, “বেতন বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে তাঁরা দীর্ঘ দিন দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অন্য দিকে কর্মীদের দু’মাসের বেতন বাকি। এ নিয়ে দু’একবার আলোচনাও হয়। তাতেও সমস্যার কোন সমাধান করা হয়নি।” রাতে জিনিসপত্র বের করার সময় তা দেখেন শপিংমলের ক্যান্টিনে থাকা ব্যক্তি অখিলেশ সিকদার। তিনি অন্যান্যদের জানালে তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অখিলেশবাবু বর্তমানে শিলিগুড়ি হাসপাতালে চিকিত্সারত। শপিংমলের কর্মী রঞ্জিত সাহা বলেন, “অখিলেশবাবুকে মারধর করা হয়। তাঁর কাছ থেকে টাকা এটিএম কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে।” হঠাত্ করে এ ভাবে শপিংমল বন্ধ করে চলে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ৩০ জন কর্মী। তাঁরা শপিংমলে পোশাক বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সবিতা মণ্ডল, প্রিয়া রায় নামে দু’জন মহিলা কর্মীও রয়েছেন। এপ্রিল মাসে বেতন বাড়ানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। গত ২৭ জুলাই সংস্থার কর্তাদের বৈঠক হয়েছিল। ১৯ অগস্টে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কর্মীদের একজন কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের বেতন খুবই কম দিতেন মালিকেরা। প্রায় ১২ ঘন্টা কাজ করতে হত। কিন্তু বেতন ছিল আড়াই থেকে চার হাজার টাকা।” |