বকেয়া বিল না মেটানোয় পুরুলিয়ার লাগদা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। শনিবার থেকে সংযোগ ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এলাকায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি বিএসএনএলের গ্রাহক। জেনারেটর দিয়ে বিএসএনএল কর্ত্তৃপক্ষ এক্সচেঞ্জ চালু রেখেছেন বটে। কিন্তু সব সময় তো জেনারেটর চলছে না! রাতে বন্ধ থাকছে। তা ছাড়া মাঝে মাঝে বেশ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকছে। সেই সময় পরিষেবা মিলছে না।”
বিএসএনএলের জেলা টেলিকম ম্যানেজার বিপ্লবতরঙ্গ মল্লিক বলেন, “প্রতি তিন মাসে আমাদের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জের জন্য বিল পাঠায় বিদ্যুৎ দফতর। গড়ে অন্য এক্সচেঞ্জগুলিতে প্রতি তিন মাসে ২৫-৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল আসে। আমরা এই হিসেব মতোই বিল দিয়ে আসছি। কিন্তু লাগদা এক্সচেঞ্জে গত তিন মাসে বিল এসেছে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। গত নয় মাসে বাঘমুণ্ডি এক্সচেঞ্জের জন্য বিল এসেছে ৪১ লক্ষ টাকা। এটা কী ভাবে হতে পারে?” তিনি জানান, জেলার অন্য এক্সচেঞ্জগুলিও চালু রয়েছে। সেখানে এত বিল আসেনি। যেখানে অস্বাভাবিক বিল এসেছে, সেখানকার মিটার পরীক্ষার দাবি জানাবেন তাঁরা। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অশোককুমার দলুই অবশ্য বলেন, “মিটার রিডিং অনুযায়ীই বিল পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জের মিটার নিয়ে যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে ওই মিটারের পাশাপাশি অন্য মিটার বসিয়ে দেওয়া যেতে পারে।” |