বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল এবং সিপিএম। সোমবার রাতে হাসনাবাদ থানার বরুণহাটের ঘটনা। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন দু’পক্ষের ১০ জন। তাঁদের মধ্যে চার মহিলা-সহ পাঁচ জনকে টাকি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করলে হাসনাবাদ থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় দোষীদের ধরার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বরুণহাট হাসপাতাল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করলে অবরোধ উঠে যায়। তৃণমূলের দাবি, তাদের দুই মহিলা সমর্থককে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে তাঁদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে বাজি ছোড়া হলে প্রতিবাদ করা হয়। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে নির্বাচনে বরুণহাট-রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। এ বার ওই পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৬টি, সিপিআই-৩টি এবং তৃণমূল ৯টি আসন পেয়েছে। এই অবস্থায় ৩৩ নম্বর বুথে প্রথম বার তৃণমূল জয়ী হওয়ায় সোমবার বিকেলে তারা বিজয় মিছিল বের করে। মিছিল থেকে বাজি ফাটানো নিয়ে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে বচসা থেকে গণ্ডগোল বাধে। মারামারিতে আহত হন কয়েক জন। বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
তৃণমূলে রাজ্য পঞ্চায়েত সেলের আহ্বায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “সিপিএমের অতর্কিত আক্রমণে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাড়ি ভাঙচুর এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, “দলীয় কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে ওরা বাজি ছুড়লে প্রতিবাদ করা হয়। এর পর তৃণমূলের লোকেরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে। এখন নিজেদের অপরাধ ঢাকতে নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রাস্তা অবরোধ করে মানুষের অসুবিধা সৃষ্টির সঙ্গে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ আমাদের একজনকেই গ্রেফতার করেছে।”
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাদুড়িয়ার রামচন্দ্রপুরে সিপিএমের বিজয় মিছিল বের হয়। তৃণমূলের দাবি, মিছিল থেকে তাদের অঞ্চল সভাপতি কামরুদ্দিন আহমেদের উপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। সিপিএমের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। |