|
|
|
|
প্রতিবাদে অবরোধ |
‘চোর’ সন্দেহে বাসকর্মীকে মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
এক যাত্রীর ব্যাগ খোওয়া যাওয়ার ঘটনায় ‘চোর’ সন্দেহে বাসের খালাসিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতার বিরুদ্ধে। যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাসের খালাসি বিবেক মাইতিকে গ্রেফতারও করেছে। সোমবার রাতে কোলাঘাট থানার মেচেদা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে ঘটনাটি ঘটে। এ দিকে চুরির কোনও প্রমাণ ছাড়াই ওই খালাসিকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অন্য বাসকর্মীদের। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাসচালক ও খালাসিরা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ ও শ্রমিক ইউনিয়নের হস্তক্ষেপে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফের বাস চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁর ব্যাগ খোওয়া গিয়েছে, তিনি হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। হুগলির উত্তরপাড়ার মাখলা এলাকার বাড়ি থেকে সোমবার হলদিয়া যাচ্ছিলেন তিনি। হাওড়া থেকে ট্রেনে মেচেদা এসে বিকেলে হলদিয়াগামী বাসে ওঠেন। বাস ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে সিটে ব্যাগ রেখে পাশের একটি দোকানে যান ওই তরুণী। বাসের খালাসিকে ব্যাগটি দেখতে বলে যান তিনি। কিন্তু ফিরে এসে ব্যাগ দেখতে না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন ওই তরুণী। তাঁর ব্যাগে ল্যাপটপ, মোবাইল, ভোটার পরিচয়পত্র-সহ জরুরি জিনিসপত্র ছিল। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, “ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি খালাসিকে জানালে তিনি কোনও গুরুত্ব না দিয়ে বাস ছেড়ে দেন। তখন স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে বিষয়টি জানাই।” রাত ৮টা নাগাদ বাসটি হলদিয়া থেকে ফের মেচেদায় ফিরে এলে স্থানীয় তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা শেখ জামশেদ ও তাঁর সঙ্গীরা মিলে ওই খালাসিকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাস চালক সইফুল সাহার অভিযোগ, “বিবেককে চোর সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ ডেকে বিবেককে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।” তাঁর দাবি, “বিবেক কোনও ভাবেই ওই ছাত্রীর ব্যাগ চুরির সঙ্গে জড়িত নয়।”
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ জামশেদ বলেন, “ওই ছাত্রী তাঁর ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার কথা বললেও তাতে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে ওই খালাসি বাস ছেড়ে দেন। এটা ঠিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ওই খালাসিকে ডাকা হয়েছিল।” কোলাঘাট থানার ওসি বাসুকি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।” |
|
|
|
|
|