‘নতুন সাইনা আবার কী, নিজের নামে বিখ্যাত হতে চাই’


প্রশ্ন: আপনি তো অর্জুন পুরস্কারও পাচ্ছেন।
সিন্ধু: তাই নাকি? এটা তো খুব বড় খবর। তা হলেই বলুন, আমার সময়টা এখন ভালই যাচ্ছে। এত তাড়াতাড়ি এই সম্মান পাব ভাবিইনি।

প্র: প্রথম বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেই পদকও কি আশা করেছিলেন?
সিন্ধু: মোটেও না। আমার টার্গেট ছিল ধাপে ধাপে এগোনো। তবে গুয়াংঝৌয়ে সেটা করতে করতেই পদক এসেছে। পদক জিতে যতটা খুশি হয়েছি, ঠিক ততটাই খুশি হয়েছি বিশ্ব সেরা দুই চিনা মেয়েকে হারিয়ে।

প্র: তা হলে সাইনা এখনও যা পারেনি, আপনি আর রতচানক ইন্তানন মিলে সেই কাজটা করলেন। সব বিশ্বসেরা চিনাদের আপনারা উড়িয়ে দিলেন!
সিন্ধু: হ্যাঁ। আমরা খুব বড় ধাক্কা দিয়ে চিনের একাধিপত্য নড়িয়ে দিয়েছি। সুতরাং শুধু আমাকে নয়, ইন্তাননকেও ধন্যবাদ জানানো উচিত।

প্র: কিন্তু সেমিফাইনালে কি আপনি ইন্তাননের বিরুদ্ধে চাপে পড়ে হারলেন?
সিন্ধু: মোটেও নয়। হেরেছি নিজের দোষে। প্রথম গেমে অহেতুক অনেক নেগেটিভ পয়েন্ট দিয়ে ফেলি। তার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারিনি। তবে ইন্তাননের কৃতিত্বকে এতটুকু ছোট করতে চাই না। ফাইনালে ও জুয়েরুইকে হারিয়ে সোনা জিতেছে। আসলে ও এখন দারুণ ফর্মে। কিছু দিনের মধ্যেই ও বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হলেও অবাক হব না।

প্র: ইন্তাননের সঙ্গে আবার দেখা হলে কী করবেন?
সিন্ধু: ওই হার থেকে যথেষ্ট শিক্ষা পেয়েছি। সুতরাং সে দিন যে ভুলগুলো করেছিলাম সেটা আর হবে না। বিশেষত নেট-প্লে।

আইবিএল-এ আকচাআকচির আগে মহামিলন। জ্বালা, সিন্ধু, অশ্বিনী ও সাইনা। নয়াদিল্লিতে।

প্র: মাত্র আঠারো বছর বয়সে প্রচারমাধ্যমের তীব্র সার্চলাইট নিজের ওপর কেমন লাগছে?

সিন্ধু: দারুণ। তবে সে জন্য আলাদা কোনও চাপ নেই। যে কোনও সময় সত্যিকারের ভাল খেললে যে এই ব্যাপারটা হবে জানতামই। সাইনাকে দেখে শিখেছি।

প্র: আপনাকে তো এখন ‘হায়দরাবাদের নতুন সাইনা’ বলা হচ্ছে। কী বলবেন?
সিন্ধু: এটা কিন্তু বাড়াবাড়ি হচ্ছে। মনে রাখবেন, সাইনাই প্রথম ভারতের মেয়েদের ব্যাডমিন্টনকে আর্ন্তজাতিক স্তরে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ওর থেকে আমাদের এখনও শেখার আছে। সাইনা গ্রেট প্লেয়ার। ওর সঙ্গে আমার তুলনা করা ঠিক নয়। আমি আমার নিজের নামে পরিচিত হতে চাই।

প্র: স্বাধীনতা দিবসে সাইনার বিরুদ্ধেই তো আইবিএলে প্রথম ম্যাচেই আপনি মুখোমুখি। আপনি নাকি বলেছেন, সাইনার চ্যালেঞ্জ নিতেও তৈরি?
সিন্ধু: ম্যাচটা খেলতে মুখিয়ে আছি। আমরা একই শহরের, একই অ্যাকাডেমির প্লেয়ার। তাই ম্যাচটা জমবে বলেই মনে হয়। চ্যালেঞ্জিং তো বটেই।

প্র: টিন-এজেই বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব কাকে দিচ্ছেন?
সিন্ধু: আমার যতটা কৃতিত্ব, ঠিক ততটাই কৃতিত্ব আমার কোচ গোপীস্যারের। স্যারের অ্যাকাডেমির প্রত্যেক সাপোর্ট স্টাফের। তাই ওঁদের সবাইকে পদকটা উৎসর্গ করতে চাই।

প্র: আপনার খেলার প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক স্টাইলই কি আপনাকে অন্য ভারতীয়দের থেকে আলাদা করে দিয়েছে?
সিন্ধু: অ্যাটাকিং স্টাইলটা ঠিক আছে। তবে আমার এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি।

ঠাকুমার আদর। সঙ্গে মা-ও। নিজের শহরে ফিরে সিন্ধু।
এ, দিকে সিন্ধুর মতো সাইনাও মনে করেন না, সিরি ফোর্টে বৃহস্পতিবার তাঁদের দু’জনের লড়াই ঘিরে দেশ জোড়া হাইপ যথাযথ। আনন্দবাজারকে এ দিন সাইনা বললেন “সিন্ধু খুবই ভাল খেলছে। খুব ট্যালেন্টেড। কিন্তু ভুলে যাবেন না, আমরা একই অ্যাকাডেমির। হামেশাই আমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে খেলি। তা ছাড়া আইবিএলে ম্যাচটা দুটো দলের লড়াইয়ের একটা ম্যাচ মাত্র। জানি না সিন্ধু কী ভাবছে। তবে আমরা মনে হয়, ব্যাডমিন্টনের এই নতুন ফর্ম্যাটটার মূল লক্ষ্য দর্শকদের আনন্দ দেওয়া। ইন্ডিয়া ওপেনের সময় আমরা এখানে স্টেডিয়াম খালি পড়ে থাকতে দেখেছি। কিন্তু এ বার এখানে শুনছি আইবিএলের প্রথম তিন দিনের সব টিকিট এখনই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এর পরিবর্তে দর্শকদের আনন্দ দিতে হবে আমাদের। সাইনা-সিন্ধুর লড়াইয়ের চেয়ে আমার কাছে তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ আইবিএলের মাধ্যমে বিশ্বে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের উত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়াটা।” কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এ সব বলে কি আড়ালে সিন্ধু-ম্যাচের চাপই কাটাতে চাইলেন সাইনা?

ছবি: পিটিআই


নাম আইবিএল
টিমের সংখ্যা ৬
• ফর্ম্যাট ২টি পুরুষ সিঙ্গলস। ১টি মহিলা সিঙ্গলস। ১টি পুরুষ ডাবলস। ১টি মিক্সড ডাবলস। মোট ৫টি ম্যাচ
• তিন গেমের ম্যাচ। কোনও ন্যূনতম দু’পয়েন্টের ব্যবধান নেই। প্রথম দু’গেমে যে আগে ২১ পয়েন্টে পৌঁছবে সে জিতবে। তৃতীয় গেমে সেটা কমে দাঁড়াবে ১১ পয়েন্টে।
সেরা আকর্ষণ
• মুম্বই মাস্টার্স বিশ্বের এক নম্বর লি চং উই এবং প্রাক্তন এক নম্বর মেয়ে টাইন বাউন।
• ক্রিশ দিল্লি স্ম্যাশার্স জ্বালা গাট্টা ও বিশ্বের দু’নম্বর মিক্সড ডাবলস জুটি।
• হায়দরাবাদ হটশটস সাইনা নেহওয়াল ও তাঁর আইডল তৌফিক হিদায়াত।
• আওয়াধি ওয়ারিয়র্স (লখনউ) পিভি সিন্ধু ও পুরুষ বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে থাকা উয়েই ফেং।
• বঙ্গা বিটস্ (বেঙ্গালুরু) পারুপল্লি কাশ্যপ ও বিশ্বের ছ’নম্বর হু ইউন।
• পুণে পিস্টন্স বিশ্বের দু’নম্বর মেয়ে জুলিয়ন শেঙ্ক ও অশ্বিনী পোনাপ্পা।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.