ফুটপাথের গাছ কেটে দক্ষিণ কলকাতার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চওড়া করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। রাস্তা দু’টি হচ্ছে: ক্যামাক স্ট্রিট এবং আলিপুর জাজেস কোর্ট রোড। গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি রাজ্য বন দফতরে আবেদন করেছে পুরসভার সড়ক বিভাগ। তবে এখনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। সড়ক বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, ক্যামাক স্ট্রিট চওড়া করতে হলে ফুটপাথে থাকা ৩৩টি বড় মাপের গাছ কাটতে হবে। একই ভাবে আলিপুর জাজেস কোর্ট রোড চওড়া করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে পুর-সড়ক দফতর।
ফুটপাথের গাছ কেটে রাস্তা চওড়া করার প্রশ্নে রাজ্য বন দফতর অবশ্য আপত্তি তোলেনি। দফতরের মন্ত্রী হিতেন বর্মণের বক্তব্য, জনস্বার্থে উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে গাছ কাটা হতেই পারে। তবে তা কাটতে হবে বন দফতরের নিয়ম মেনে। মঙ্গলবার বনমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা পুরসভার আবেদন দফতরের আধিকারিকেরা খতিয়ে দেখছেন। ফুটপাথের কোথায় গাছগুলি ঠিক কী অবস্থায় আছে, বন দফতর তা সরেজমিনে দেখবে। সরকারি বিধি মেনে প্রতিটি গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সেই মতো গাছ কাটতে পুরসভাকে বন দফতরে নির্দিষ্ট টাকা জমা দিতে হবে। যত গাছ কাটা হবে, তার দ্বিগুণ গাছ লাগাতে হবে।” |
পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত ঘোষ জানান, পার্ক স্ট্রিট-এজেসি বসু রোড সংযোগকারী ক্যামাক স্ট্রিট। রাস্তাটি সর্বত্র সমান চওড়া নয়। ৬৫০ মিটার দীর্ঘ ওই রাস্তাটি কোথাও ১০ মিটার, কোথাও আবার ১৫ মিটার চওড়া হওয়ায় যান-চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রায়শই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সুশান্তবাবু জানান, ফুটপাথ কেটে রাস্তাটি আগাগোড়া ১৫ মিটার চওড়া করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য ফুটপাথের উপরে থাকা ৩৩টি গাছ কাটতে হবে। গাছ কাটার জন্য বন দফতর নির্দেশিত পরিমাণ গাছ অন্যত্র লাগিয়ে দেওয়া হবে। বন দফতরের অনুমোদন পেলেই ক্যামাক স্ট্রিট চওড়া করার কাজ শুরু হবে। খরচ ধরা হয়েছে ৫১ লক্ষ টাকা।
একই ভাবে আলিপুর জাজেস কোর্ট রোড চওড়া করারও প্রস্তাব গ্রহণ করছে পুরসভার সড়ক বিভাগ। দফতরের কর্তারা জানান, ওই রাস্তাটি এখন ৩৪ ফুট চওড়া। সেটি ৪০ ফুট চওড়া করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। সুশান্তবাবু জানান, ক্যামাক স্ট্রিটের কাজ শেষ হলে আলিপুর জাজেস কোর্ট রোড চওড়া করার কাজে হাত দেওয়া হবে।
|