ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের জেরে মালদহ শহরের জঞ্জাল ফেলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ইংরেজবাজার পুর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত পুরসভার স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। এতে মালদহ শহর লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় পুরসভা শহরের জঞ্জাল ফেলছে। কখনও সাহাপুর, কখন যদুপুর, কখনও সুসতানির মোড়, কখনওবা জাতীয় সড়কের দুইপাশে জঞ্জাল ফেলছিল পুরসভা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধে সেখানে শহরের জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয় পুরসভা। গত একমাস ধরে ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার লাগোয়া নির্মিয়মাণ সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসের পাশে একটি বড় গর্তে জঞ্জাল ফেলা হচ্ছিল। দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে মঙ্গলবার ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজারের ব্যবসায়ীরা পুরসভার জঞ্জাল ফেলার গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুরসভার চেয়ারম্যান পুলিশ পাঠিয়ে ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজারে ওই এলাকায় জঞ্জাল ফেলার ব্যবস্থা করেন। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। |
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কর্মাসের সম্পাদক উজ্জল সাহা বলেন, “নিয়ন্ত্রিত বাজার চত্বর দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে। জঞ্জাল ফেলার পর পুরসভা তার উপরে মাটি ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আশা করছি, ব্যবসায়ীরা আর বাধা দেবেন না।” পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “ওই এলাকার গর্তটি জঞ্জাল ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। সেটি জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সংস্কার দফতরের। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির জায়গা নয়। বাজার সমিতির এক পদাধিকারী ব্যবসায়ীদের উসকে দিয়ে এদিন ওই কাজ করেছেন। ওঁকে সতর্ক করা হয়েছে। নিচু এলাকাটি ভরাট হলে বাস টার্মিনাসের পরিধি বাড়বে।” একই বক্তব্য জেলাশাসক তথা বাজার কমিটির চেয়ারম্যান গোদালা কিরণ কুমারের। এদিকে, অভিযোগের তির যাঁর দিকে সেই নিয়ন্ত্রিত বাজারের সচিব সমর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি কাউতে কিছু করতে বলিনি। বাজার এলাকার মধ্যে ময়লা ফেলায় ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ দেখান।” এদিকে জঞ্জাল ফেলা নিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা শুভদীপ সান্যাল। তিনি বলেন, “পুরসভার স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। এই ব্যাপারে কেউই উদ্যোগী হচ্ছেন না। চেয়ারম্যানের জন্যই এই অবস্থা। পুলিশ দিয়ে জঞ্জাল ফেলা ঠিক নয়।”
|