স্থানীয় ক্লাবগুলির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পূর্ত দফতরের মতানৈক্যের জেরে জেমস লং সরণির গাছ কাটা নিয়ে কোনও রফাসূত্র বেরোল না।
জেমস লং সরণি চওড়া করার জন্য পূর্ত দফতর রাস্তার পাশে থাকা গাছ কাটছিল। তাতে স্থানীয় ক্লাবগুলি বাধা দেয়। এর পর পূর্ত দফতরের সঙ্গে এক বৈঠকে ঠিক হয়, ক্লাবগুলি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা সমীক্ষা করাবে। সেই সমীক্ষায় অতিরিক্ত পরিমাণে গাছ না কাটার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পূর্ত দফতর সে কথা মানতে নারাজ। এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ১৩ জুন যৌথ সমীক্ষা চালাবে দু’পক্ষ।
পূর্ত দফতরের দাবি ছিল, তারাতলা থেকে জোকা, জেমস লং সরণি সম্প্রসারণের জন্য বন দফতরের কাছ থেকে ৫৮৯টি গাছ কাটার অনুমতি পেয়েছে তারা। এ পর্যন্ত ১৬০টির মতো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলেও পূর্ত দফতর সূত্রের খবর। কিন্তু এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় ২৩ মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় ক্লাবগুলি জোটবদ্ধ হয়ে গাছ কাটার বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তৈরি হয় ‘জেমস লং সরণি গাছ বাঁচাও ক্লাব সমন্বয় কমিটি’। এর পরেই গত ২৫ মে গাছ কাটতে এসেও বাসিন্দাদের বিক্ষোভে ফিরে যেতে হয় পূর্ত দফতরের নিযুক্ত ঠিকাদারি সংস্থাকে। পূর্ত দফতর জানায়, বিক্ষোভের জেরেই ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা দফতরের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার ক্লাবগুলির কথা মেনে আলোচনায় বসেন। তার পরেই সিদ্ধান্ত মতো ক্লাবগুলি বন দফতরের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সেচ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস রায় এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কনের্র্ল ভূপলচন্দ্র লাহিড়িকে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে গাছ কাটার বিষয়টি সমীক্ষা করায়।
কমিটি জানিয়েছে, জেমস লং সরণিকে ২ মিটার চওড়া করার জন্য ৫৮৯টি গাছ কাটার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে পূর্ত দফতরের কাছে রাস্তার নক্শা ও বন বিভাগের গাছ কাটার অনুমতি চেয়েছেন তাঁরা। যদিও জেমস লং সরণির চওড়া করার কাজের সঙ্গে যুক্ত পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “ওই রাস্তাটি ১৫ মিটার পর্যন্ত চওড়া করার কথা। গাছ না কেটে তা করা যাবে না। সাধারণ মানুষ বাধা দিলে কী হবে, সে বিষয়ে দফতরের উচ্চকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।” |