|
|
|
|
যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যে ফেল রেল, জানাল সিএজি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ট্রেন ও স্টেশন চত্বরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগে সিলমোহর বসালো কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। গত আর্থিক বছরে রেল মন্ত্রকের কাজ নিয়ে সিএজি-র রিপোর্ট আজ সংসদে পেশ করা হয়েছে। তাতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্নে রেলের কড়া সমালোচনা করেছে সিএজি। তাদের মতে, পরিচ্ছন্নতা ও যাত্রী পরিষেবা নিয়ে রেল বোর্ডের নিয়মগুলির প্রায় একটাও মেনে চলা হচ্ছে না।
এর আগে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নে রেলের ভূমিকার সমালোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রেল সেই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএজি। রেলের পরিষেবা ও পরিচ্ছন্নতা খতিয়ে দেখতে ১৭টি জোনের ১২৩টি বড় স্টেশন, ৮৮টি ট্রেন ও আড়াই হাজার যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সিএজি-র কর্মীরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিচ্ছন্নতা প্রশ্নে ডাহা ফেল করেছে রেল। মাত্র ৬৫টি স্টেশন যান্ত্রিক উপায়ে সাফ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজের মানও ভাল নয়। এ ছাড়া রাজধানী, দুরন্তের মতো দূরপাল্পার ট্রেনগুলিতে যাত্রার সময়ে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সাফাই হওয়ার নিয়ম থাকলেও তা হয় না। ট্রেন ও স্টেশনের শৌচাগারগুলির হালও খুবই খারাপ। বহু ট্রেনে শৌচাগার সাফাই হওয়া তো দূরে থাক, যাত্রীরা জল পর্যন্ত পান না। এ ছাড়া চলন্ত ট্রেনে আরশোলা ও ইঁদুরের উৎপাতের অভিযোগ পেয়েছেন সিএজি কর্মীরা। চলন্ত ট্রেনে শৌচাগারের ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর লাইন ক্ষয়ে রেলের কয়েকশো টাকা ক্ষতি হয়। তাই ওই খরচ বাঁচাতে যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনে গ্রিন টয়লেট বসানোর পরামর্শ দিয়েছে সিএজি।
প্রশ্ন উঠেছে ট্রেনে পরিবেশিত খাবারের মান নিয়েও। শুধু ট্রেনই নয়- বিভিন্ন বড় স্টেশন (যার মধ্যে রয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহ) থেকে খাদ্যের নমুনা রেল নির্ধারিত নির্দিষ্ট মানের ধারে কাছে নেই বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্টেশনগুলিতে যে পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। নির্দিষ্ট সময় অন্তর জলাধার সাফ না হওয়ায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা সিএজি-র। স্বভাবতই সিএজি-র ওই কড়া সমালোচনার পর এ দিন সরকারি ভাবে মুখ খুলতে চাননি কোনও রেল কর্তাই। তবে মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিষেবা ও পরিচ্ছন্নতা একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। রেলের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তা সত্ত্বেও চলতি আর্থিক বছরে পরিষেবা খাতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তার সুফল আগামী বছরে পাওয়া যাবে বলে দাবি রেল কর্তাদের। |
|
|
|
|
|