টুকরো খবর
প্রতারণার অভিযোগে ধৃত
টাকা জমা দিলেই কলকাতার এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার হল আরও এক জন। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুশান্ত দে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি অমিতাভ রায় এবং অমিত রায় নামেও পরিচিত। পুলিশ জানায়, বেহালার বাসিন্দা সুশান্তকে এ দিন দুপুরে পর্ণশ্রী থানার রবীন্দ্রনগর বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে ধরা হয়। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।পুলিশ জানায়, পাটুলির ‘কেরিয়ার গাইড’ নামে একটি সংস্থার মালিক সুশান্ত। গত মাসে বর্ধমানের বাসিন্দা প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায় কসবা থানায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সুশান্তর দুই সঙ্গী রাহুল বসু ওরফে সম্বরণ চক্রবর্তী এবং নীরা মিত্র ওরফে স্বাতীকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “এখনও পর্যন্ত জনা সাতেক ছাত্রের প্রতারিত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

জাল নোট, দম্পতি পাকড়াও
বিধাননগর এসিজেএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জুরিখা
ও বিশ্বনাথ মিত্রকে। মঙ্গলবার শৌভিক দে-র তোলা ছবি।
সল্টলেকের একটি বিদেশি ব্যাঙ্কে জাল নোট জমা দেওয়ার অভিযোগে কেষ্টপুর থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ মিত্র ও জুরিখা মিত্র। বিধাননগর এসিজেএম আদালত মঙ্গলবার বিশ্বনাথকে চার দিন পুলিশি হাজত এবং জুরিখারে চার দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ৭ অগস্ট জুরিখা ওই ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে ৩০টি ৫০০ টাকার নোট জমা দেন। ১০ অগস্ট ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ করেন, নোটগুলি জাল। ব্যাঙ্ক কেন দ্রুত ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। একটি সূত্রের খবর, সে-দিন গ্রাহকের ভিড় থাকায় ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওই নোটগুলি চিহ্নিত করতে পারেননি।

মহাকরণের ঠাঁইবদলের বিরুদ্ধে সরব কিছু কর্মী
সরকারি দফতরগুলিকে মহাকরণ থেকে হাওড়ায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাল সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং নবপর্যায়। সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা শুভাশিস দাস বলেন, “কোটি কোটি টাকা খরচ করে মহাকরণ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে ৩৮ শতাংশ। তা মেটানোর ব্যাপারে সরকার কোনও রকম উচ্চবাচ্যই করছে না।” কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, “কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা না-করে মহাকরণ থেকে ফাইল সরানো যাবে না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রয়েছে। ট্রাকে সেগুলো নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত মানব না। প্রয়োজনে আমরা রাজ্য জুড়ে সব সরকারি অফিসে আন্দোলন করব।” নবপর্যায়ের তরফে সন্দীপ দাশগুপ্তের দাবি, কেন মহাকরণ সরানো হচ্ছে, তা জনগণকে জানানো হোক। তাঁর প্রশ্ন, “এই কাজ কার স্বার্থে হচ্ছে? টাকাই বা আসছে কোথা থেকে?”

পুরনো খবর:
মার্কশিট জালের চক্র, ছাত্রনেতা ধৃত
মার্কশিট জাল করে ছাত্র ভর্তি করানোর চেষ্টার অভিযোগে গড়িয়াহাটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সানি সিংহ নামে এক ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ জানায়, সোমবার এক ছাত্র জাল মার্কশিট নিয়ে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন। কয়েক জন ছাত্র তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশকে জানান, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদের তিন নেতাই তাঁকে মার্কশিট জাল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জাল মার্কশিট তৈরি করতে তাঁরা ওই ছাত্রকে সাহায্য করেন বলেও অভিযোগ। ওই ছাত্রের অভিযোগ, এর জন্য ওই তিন ছাত্রনেতা তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রটি যে-ক’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “অভিযুক্ত তিন ছাত্রনেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

মার সারদার অরবিন্দকে
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত অরবিন্দ সিংহ চৌহানকে বিধাননগর এসিজেএম আদালতের লক-আপে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার সারদা কাণ্ডে ছ’টি মামলার শুনানি হয়। সকালে প্রথমে আদালতে তোলা হয় অরবিন্দকে। পুলিশি সূত্রের খবর, ১২টার পরে অন্য কয়েক জন বন্দি আদালতের লক-আপেই অরবিন্দকে মারধর করে। পরে পুলিশ অরবিন্দকে অন্য একটি ঘরে রাখে। এ দিন একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন নরোত্তম দত্ত নামে ওই সংস্থার এক এজেন্ট। এই প্রথম সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরে কোনও অভিযুক্ত জেলের বাইরে যেতে পারলেন। অন্যান্য মামলায় সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং অন্য অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাঁদের ফের পাঠানো হয় জেল-হাজতে। জেল হাসপাতালে চিকিত্‌সা চলায় সারদার ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে এ দিন আদালতে হাজির করানো যায়নি।

কলেজছাত্র গ্রেফতার
এক তরুণীর শ্লীলতাহানি ও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগে এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শীর্ষেন্দু হাজরা। ধৃতের পরিবারের তরফে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে শীর্ষেন্দুর তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। পুলিশ জানায়, তরুণী ও ধৃত যুবক কলকাতার এক কলেজে আইন নিয়ে পড়ছেন। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ঘনিষ্ঠতা ছিল। সম্প্রতি গণ্ডগোল হচ্ছিল। ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার শীর্ষেন্দু ওই তরুণীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ও তাঁর শ্লীলতাহানি করে। যদিও শীর্ষেন্দুর পরিবার জানায়, ওই যুবককে সল্টলেকে ওই তরুণীর বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে মারধর করা হয়।

সমন সত্ত্বেও গরহাজির গৌতম
মানহানির একটি মামলায় সমন পেয়েও মঙ্গলবার আদালতে হাজির হননি সিপিএম নেতা গৌতম দেব। কলকাতা ব্যাঙ্কশাল আদালতে এ দিন সকালে গৌতমবাবুর হাজির হওয়ার কথা ছিল বলে জানান মানহানির মামলার আবেদনকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। গৌতমবাবুর আইনজীবী এ দিন আদালতে জানান, দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর মক্কেল আসতে পারেননি। বিচারক এর পরে যে-দিন তাঁকে হাজির হতে বলবেন, সে-দিনই তিনি হাজির হবেন। আদালত গৌতমবাবুকে ২৫ সেপ্টেম্বর হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

অস্ত্র-সহ ধৃত ২
বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে শহরের দুই জায়গা থেকে একই দিনে গ্রেফতার হল দুই ব্যক্তি। এক জনের নাম শেখ দানিশ। তিনি তিলজলার বাসিন্দা। সোমবার রাতে বাইপাস থেকে তাকে ধরা হয়। তার কাছে মিলেছে একটি পিস্তল ও দু’রাউন্ড গুলি। পুলিশ জানায়, দানিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজি-সহ নানা অভিযোগ আছে। ওই রাতেই এস এন ব্যানার্জি রোড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ-সহ ধরা পড়ে রামেশ্বর যাদব নামে এক যুবক।

টাকা-গয়না চুরি
একটি ফ্ল্যাট থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ও সোনার বালা চুরির অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার, বিজয়গড়ে। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা রঞ্জনা দত্ত জানিয়েছেন, একটি ব্যাগে বেশ কয়েক হাজার টাকা ও সোনার গয়না ভরে খাওয়ার টেবিলে রেখেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সকালে অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। ফ্ল্যাটের দরজা ছিল ভেজানো। হঠাৎ তিনি দেখেন টেবিলে রাখা ব্যাগটি উধাও। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দু’টি দুর্ঘটনা, মৃত ২
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার, সূর্য সেন স্ট্রিট ও কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে। মৃতের নাম জনাব মহম্মদ সাবির (২৬)। পুলিশ জানায়, সাইকেলে করে যাওয়ার সময়ে একটি লরি সাবিরকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। লরিচালক পলাতক। অন্য দিকে, সোমবার বাবুঘাটের কাছে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় দীনেশ সাউ (৪২) নামে এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, রাস্তা পার হওয়ার সময়ে হাওড়াগামী একটি বাস দীনেশকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.