বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি, সাজছে জেলা পরিষদ
পালাবদল হয়ে গিয়েছে। এ বার নতুন বোর্ড গঠনের অপেক্ষা। ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ গঠন শেষ করতে হবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। তার আগে কোনও একদিন সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি নির্বাচন করে জেলা পরিষদ গঠন করবে প্রশাসন। জেলা পরিষদের অন্দরেও তাই এখন সাজ সাজ রব। শুরু হয়েছে সংস্কারকাজ। একের পর এক ঘর সাফসুতরো করা হচ্ছে। দেওয়ালে নতুন রং চড়ছে। নতুন বোর্ড তৈরির আগেই সংস্কারকাজ শেষ করতে হবে। তাই তৎপরতা তুঙ্গে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী বলেন, “কিছু ঘরের সংস্কার করা হচ্ছে। নতুন রং হবে। চলতি মাসেই কাজ শেষ হবে।”
গোড়া থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতা ছিল বামফ্রন্টের হাতে। এ বার ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, আগামী মাসের গোড়ায় নতুন বোর্ড তৈরি হবে। শুরুতে সভাধিপতি নির্বাচন। পরে কর্মাধ্যক্ষ। জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলছেন, “ঠিক কবে সভাধিপতি নির্বাচন হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কোনও একদিন ওই নির্বাচন হবে। কিছু ঘর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। নতুন বোর্ড তৈরি হলে ওই ঘরগুলোয় ফের ব্যস্ততা বাড়বে। এখন ঘরগুলো খালি রয়েছে। ফলে, সংস্কার কাজ এগোতে সমস্যা হচ্ছে না।”
রং করা হচ্ছে জেলা সভাধিপতির ঘর। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষদের দফতর যে সব ঘরে রয়েছে, সেগুলোই সাফসুতরো করা শুরু হয়েছে। সঙ্গে আবাসন সংস্কারের কাজও চলছে। জেলা পরিষদের ভবনটি পুরনো। জেলা ভাগের পরও সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতির দফতর বদলায়নি। এ বার কে সভাধিপতি হবেন, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই জেলা পরিষদের অন্দর সাজতে শুরু করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে কর্মাধ্যক্ষের ৯টি পদ রয়েছে। ৯টি পৃথক দফতর রয়েছে। সবক’টি দফতরেই এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। জমে থাকা ফাইলপত্র অন্যত্র সরিয়ে চলছে সংস্কার কাজ। কর্মীরাও চূড়ান্ত ব্যস্ত।
গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনের ক্ষেত্রে ২টি দিন ধার্য করা হয়েছে জেলায়। ১৭ অগস্ট ঝাড়গ্রাম ও ঘাটাল মহকুমার সব গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন হবে। অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধান নির্বাচন হবে ওই দিনেই। ৩০ অগস্ট হবে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবে ওই দিন। পরে ধীরে ধীরে কর্মাধ্যক্ষ, স্থায়ী সমিতি প্রভৃতি গঠিত হবে। তবে সবার আগে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। বিশেষত, এ বার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় তৃণমূল। অধিকাংশ নির্বাচিত সদস্যই পঞ্চায়েত চালানোর কাজে অদক্ষ। তাই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হত কল্যাণীতে। এ বার জেলাতেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় সেখানেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত জানিয়েছেন। ২৪ অগস্ট থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণ। জেলায় ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৫৮০ জনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, একদিনে ৭০ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে জেলায়। টানা ৬ দিন প্রশিক্ষণ চলবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে একটানা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রশিক্ষণ চলবে। তার মাঝে দু’সপ্তাহ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ছেড়ে পঞ্চায়েত সমিতির প্রশিক্ষণ করিয়ে দিলেও পঞ্চায়েত সমিতির প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাবে। কারণ, পঞ্চায়েত সমিতিরক সংখ্যা ২৯। ফলে সভাপতি ও সহ সভাপতি মিলিয়ে মাত্র ৫৮ জনকে প্রশিক্ষণ দিলেই মিটে যাবে।
কী থাকবে প্রশিক্ষণে? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমেই বোঝানো হবে, প্রশাসন চালাতে হবে একজন প্রধান ও উপপ্রধান, সভাপতি বা সহ সভাপতির ভূমিকা কী? কী কী প্রকল্প রয়েছে, কোন প্রকল্প রাজ্যের, কোন প্রকল্প কেন্দ্রের, কিভাবে সেই প্রকল্পের টাকা আসে, কিভাবে তা খরচ করতে হয়, কোনও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন করতে হলে কোন কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তা করতে হবে - প্রভৃতি সব বিষয়ই বোঝানো হবে প্রশিক্ষণে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.