|
|
|
|
নাড়াজোল রাজ কলেজ |
অধ্যাপককে হেনস্থায় অভিযুক্ত টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাসপুর |
ফের শিক্ষাক্ষেত্রে শাসকদলের চোখরাঙানি। এ বার দাসপুরের নাড়াজোল রাজ কলেজের অধ্যাপক তথা প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত পাহাড়িকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল দশটা নাগাদ কলেজে ঢোকার সময় কয়েকজন যুবক দেবব্রতবাবুকে জোর করে গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। মারধরের চেষ্টাও হয়। ওই অধ্যাপকের বক্তব্য, “নিরাপত্তাহীনতার কথা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তারপরেও এই ঘটনা ঘটল। ওই যুবকদের কয়েকজন আমাদের কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, টিএমসিপি করে।” গাড়িটি দেবব্রতবাবুকে দাসপুর থানায় নামিয়ে চলে যায়। সেখানে তখন ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মমতা ভুঁইয়ার ছেলে কুমারেশ ও তৃণমূলের দাসপুর ১ ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্র। দু’জনেরই দাবি, ঘটনার কথা জেনে তাঁরা থানায় এসেছিলেন।
বিধ্বস্ত দেবব্রতবাবু ওসিকে মৌখিক ভাবে তিনি সব জানান। তার ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযোগ (জিডি) দায়ের করে। পরে পুলিশের গাড়িতে তাঁকে কলেজে নামিয়ে দেওয়া হয়। কলেজ শেষে পুলিশি পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হয় মেদিনীপুরের বাড়িতে। দাসপুরের ওসি ননীগোপাল দত্ত বলেন, “সোমবার একটা অঘটন ঘটেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।” দেবব্রতবাবুর আগের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি, তার সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় সংগঠনের কেউ জড়িত বলে মানতে চাননি টিএমসিপি নেতৃত্ব। সংগঠনের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “এই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নয়।” তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি।
যদি দলের বা ছাত্র সংগঠনের কেউ এতে জড়িত থাকে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত এপ্রিল পর্যন্ত দেবব্রতবাবুই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে ছিলেন। তারপর তাঁকে সরিয়ে শিক্ষক আশিস মুখোপাধ্যায়কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। দেবব্রতবাবুর অভিযোগ, গত ৩ অগস্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা পরিচালন কমিটির সভানেত্রী মমতা ভুঁইয়ার ইন্ধনে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। সে কথা থানা-সহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে জানিয়েছিলেন তিনি। দেবব্রতবাবুর অনুমান, ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করানোর জন্যই তাঁকে এ দিন হেনস্থা করা হল। মমতাদেবী যদিও বলেন, ‘‘উনি (দেবব্রতবাবু) সব মিথ্যে কথা বলছেন।” |
|
|
|
|
|