|
|
|
|
|
পরিবারের বিয়েতে আপত্তি,
নাবালিকার মুখে অ্যাসিড
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল গ্রামেরই যুবকের বিরুদ্ধে।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার নোনাকুড়ি গ্রামের ঘটনা। ওই কিশোরীর পাশে শুয়েছিল বছর পাঁচেকের ভাগ্নি। গুরুতর জখম
হয়েছে সে-ও। রবিবার ভোরবেলা দু’জনকেই তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ‘বার্ন ওয়ার্ডে’ চিকিৎসাধীন তারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কার্বলিক অ্যাসিডে ওই কিশোরীর মুখ ও গলা ঝলসে গিয়েছে। তার ভাগ্নির শরীরেরও কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় কিশোরীর পরিবার গ্রামেরই এক যুবক ও তার বন্ধু এই কাজ করে থাকতে পারে বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল। যদিও অভিযুক্তেরা ততক্ষণে এলাকা ছেড়েছে। |
|
অ্যাসিড-কাণ্ডে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় স্মারকলিপি তৃণমূলের মহিলা সেলের। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক থানার নোনাকুড়ি গ্রামের বছর আঠারোর ওই কিশোরী এ বছর মাধ্যমিক পাশ করেছে। গ্রামেরই জিতেন বর্মন নামে বছর কুড়ির এক বেকার যুবক তাকে পছন্দ করত। আদতে তমলুক থানার রাজনগর গ্রামে তার বাড়ি। নোনাকুড়ি গ্রামে মামাবাড়িতে থাকত সে। গজেন জানা নামে তার এক বন্ধুও থাকত সঙ্গে। গজেন মারফত কিশোরীর পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল জিতেন। কিন্তু কিশোরীর পরিবারের লোকেরা চালচুলোহীন জিতেনকে প্রত্যাখ্যান করেন। ওই কিশোরীর অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেন তাঁরা। এক জায়গায় কথাবার্তা এগিয়েছিল কিছুটা।
রবিবার ‘পাকা দেখা’র কথা ছিল। তার আগেই ঘটনাটি ঘটে।
কিশোরীর মায়ের কথায়, “শনিবার রাতে একই ঘরে আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। একটা খাটে মেয়ে ও নাতনি, আর একটা খাটে আমরা স্বামী-স্ত্রী ছিলাম। আড়াইটে নাগাদ মেয়ের চিৎকার শুনে আলো
জ্বেলে দেখি, মুখের নিচের দিক ও গলা সাদা হয়ে গিয়েছে। নাতনির চামড়াও পুড়ে গিয়েছে। দরজা খোলা।” জিতেন ও তার বন্ধু গজেনই ঘরের মধ্যে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে বাড়ির লোকেদের অনুমান। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার দফায়-দফায় থানায় গিয়েও পুলিশের সাহায্য মেলেনি। বিকেলে যখন অভিযোগ নেয় পুলিশ, ততক্ষণে অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়েছে।
পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি জেলার পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন। তিনি বলেন, “অভিযোগ পেয়ে দুপুরেই পুলিশ গ্রামে গিয়েছিল। তদন্ত করে সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের নাম জানার পর তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুরনো সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।” |
|
|
|
|
|