|
|
|
|
চাপে পড়ে পদত্যাগ স্কুল সম্পাদকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করায় বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সম্পাদককে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগর এলাকার রায়নগর হরমোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ, এলাকার স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাপে মেয়াদ শেষের আগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন পরিচালন সমিতির সম্পাদক তপন জানা। সোমবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।
গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূল প্রধান অশোক মণ্ডলের স্ত্রী কাঞ্চনদেবী এ বার রায়নগর গ্রাম থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করেন সীতা মাইতি। এই সীতাদেবীর হয়ে প্রচার করেছিলেন তপনবাবু। তাঁর বক্তব্য, “আমরা তৃণমূলের সমর্থক। কিন্তু সীতাদেবী আমার আত্মীয়। তাই তাঁর হয়ে প্রচার করছিলাম।” ভোটে অবশ্য কাঞ্চনদেবীই জেতেন। তপনবাবুর অভিযোগ, “ফলপ্রকাশের পরই স্থানীয় কিছু তৃণমূলের লোক আমার বাড়িতে এসে চাপ দেয় পদত্যাগ করার জন্য। বাধ্য হয়ে আমি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ৩ অগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দিই।” তৃণমূলের নন্দীগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বলেন “স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ওঁকে বলেছিলেন, তৃণমূলের সমর্থনে স্কুলের সম্পাদক হয়েছেন। এখন যখন বিরোধিতাই করছেন, তখন সম্পাদক পদ থেকে সরে যান। তবে আমরা বিষয়টি জানার পর তপনবাবুর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে বারণ করেছিলাম।” |
|
|
|
|
|