এক অভিযুক্ত আদালতে অনুপস্থিত থাকায় সোমবার তুহিন-হত্যা মামলার চার্জ গঠন হল না। কাটোয়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় আগামী ৮ নভেম্বর চার্জগঠনের দিন ঘোষণা করেছেন। ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়ার চাণ্ডুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের সময়ে সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে গোলমাল বাধে। গুলিতে নিহত হন কংগ্রেস নেতা তথা কলেজশিক্ষক তুহিন সামন্ত। ঘটনার পরেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাটোয়া থানার তত্কালীন ওসি দেবজ্যোতি সাহার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে। কিন্তু নিহতের ভাই তুষার কাটোয়া আদালতে দেবজ্যোতিবাবুর বিরুদ্ধে সরাসরি খুন ও সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা করেন। সিআইডি চার্জশিটে সরাসরি খুনের কথা জানিয়েছিল। এ দিন অভিযুক্ত এক সিপিএম নেতা অসুস্থতার জন্য আদালতে আসেননি। তাই বিচারক চার্জগঠন পিছিয়ে দেন। |
প্রায় দশ মাস আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিহারের এক যুবক উদ্ধার হল বর্ধমানে। সিরাজ আহমেদ নামে বছর উনিশের ওই যুবককে সোমবার তাঁর বাবা ও দাদা বর্ধমান থানা থেকে নিয়ে যান। পুলিশ জানায়, সিরাজের বাড়ি বিহারের সিওয়ান জেলার চেনপুর গ্রামে। স্থানীয় হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পুলিশ জানায়, কোনও ভাবে বর্ধমান এসে পৌঁছেছিলেন সিরাজ। এত দিন কোথায় কী ভাবে ছিলেন, তা তিনি বলতে পারছেন না। মাসখানেক আগে খোসবাগান রোডের মসজিদপাড়ায় রাস্তার পাশে ছেঁড়া পোশাক পরে ও পায়ে ঘা নিয়ে তাঁকে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। সিরাজকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, সিরাজ মানসিক ভাবে সুস্থ নন। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, ইন্টারনেটে সিরাজের ছবি দিয়ে বাড়ির লোকের খোঁজ শুরু করা হলে তাঁর বাবা, পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী আহমেদ আলি ও দাদা আমজাদ আলির সঙ্গে যোগাযোগ হয়। সোমবার তাঁরা বর্ধমানে এসে ছেলেকে ফিরে পান। আহমেদ আলি বলেন, “ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এ ভাবে ওর সন্ধান পাব ভাবিনি।”
|
নতুন কলেজে সোমবার থেকে ক্লাস শুরু হল কালনায়। কালনা ২ ব্লকের তেহাটা সদানন্দ মহাবিদ্যালয়ে ৪৬ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরে আরও ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবেন। কলেজ শুরুর প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় একটি প্রভাতফেরির। কলেজ তৈরিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অর্থ ও জমি দিয়ে সাহায্য করেছেন। |