প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে আসতে দেরি করেন, এই অভিযোগে স্কুলে তালা দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কালনা শহরের জাপট এলাকায় জিএসএফপি বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৪। আগে তিন জন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও ছাত্রছাত্রী কম থাকার কারণে এক জনকে বদলি করে দেওয়া হয়। বাকি দু’জনের মধ্যে অসুস্থতার কারণে এক জন ছুটিতে রয়েছেন। বর্তমানে স্কুল চালানোর পুরো দায়িত্বই প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী দত্তের। সোমবার বেলা ১১টার পরেও কাবেরীদেবী এসে পৌঁছাননি। এর পরেই ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কালনা-১ ব্লকের পূর্বচক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায়। |
স্থানীয় বাসিন্দা খোকন ঘোষ, তাপসী ঘোষেদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা প্রায়ই দেরিতে স্কুলে আসেন। ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা ওই শিক্ষিকার বদলির দাবিও করেন। তবে কাবেরীদেবী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “শহরের একটি দোকানে চশমা সারাতে দিয়েছিলাম। সেটি আনতে গিয়েই এ দিন দেরি হয়েছে।” তাঁর দাবি, “পৌনে ১১টার মধ্যে আমি স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তার আগে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য ছেলেকে স্কুলের চাবি দিয়ে পাঠিয়েছিলাম।” কাবেরিদেবীর পাল্টা দাবি, স্কুলের সামনের জায়গা অনেকে জামা-কাপড় শুকনো করা-সহ নানা কাজে ব্যবহার করেন। তার প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে।
স্কুল পরিদর্শক জানান, প্রধান শিক্ষিকা দেরিতে আসায় শো -কজের চিঠি দেওয়া হবে। এ দিন তিনি স্কুলে থাকাকালীন কদমগাছের একটি বড় ডাল ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য আঘাত পাওয়ার হাত থেকে বাঁচেন তিনি। ওই কদম গাছের শুকনো ডাল কাটারও নির্দেশ দিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক। |