টানা দশ দিন গড় পঞ্চকোট পাহাড়-সহ সংলগ্ন এলাকা দাপিয়ে শেষে ঝাড়খণ্ডে ফিরে গেল দলছুট দাঁতালটি। শনিবার সকালে দাঁতালটিকে ঝাড়খণ্ড সীমানা পার করে দেওয়া হয়। এ যাত্রায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পুরুলিয়ার বনকর্মীরা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩১ জুলাই বাঁকুড়ার দিক থেকে এই দাঁতালটি সাঁতুড়ি, রঘুনাথপুর হয়ে গড় পঞ্চকোট পাহাড়ে আস্তানা নেয় প্রথমে বনকর্মীরা পরে বাঁকুড়া থেকে আসা হুলা পার্টির লোকেরা হাতিটিকে বাঁকুড়ার দিকেই ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের অভিযান সফল হয়নি। পাহাড়ের চূড়া থেকে নীচে নামলেও হাতিটি ইচ্ছামতো ফের পাহাড়ে উঠে পড়ে। |
পারাপার। বিষ্ণুপুরের ভাটরায় দ্বারকেশ্বর নদে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এই লুকোচুরির মধ্যেই শুক্রবার দাঁতালটি পাহাড় ছেড়ে পুরুলিয়া ২ ব্লকের বাতিকরা গ্রামে চলে যায়। সেখান থেকে রাতে হুড়ার লধুড়কা হয়ে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০ এ জাতীয় সড়ক পার হয়ে হাতিটি ঢুকে পড়ে রাকাব জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। এই জঙ্গলের পিছন দিকেই রয়েছে কংসাবতী নদী। সেই নদী পার হয়ে হাতিটি ঢুকে পড়ে বরাবাজারে। কাছেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। বনকর্মীরা ওই পথ দিয়েই হাতিটিকে ঝণখণ্ডে পাঠিয়ে দেন। ডিএফও (কংসাবতী দক্ষিণ) উত্পল নাগ বলেন, “হাতিটিকে ঝাড়খণ্ডের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
অন্য দিকে, বড়জ়োড়া থেকে বেলিয়াতোড় হয়ে দলমার ২৫টি হাতির দল শনিবার গভীর রাতে ঢুকে পড়ে বাঁকুড়ার জয়পুর রেঞ্জের জঙ্গলে। যাওয়ার পথে অযোধ্যা ও দেউলি গ্রামে ফসলের ক্ষতি করে হাতিগুলি। বন দফতর জানিয়েছে, দ্বারকেশ্বর নদী পার হয়ে হাতির দলটি রবিবার অবস্থান করে জয়পুরের কোশিরবাগান এলাকায়। ডিএফও (বিষ্ণুপুর) কুমার বিমল বলেন, “জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে। হাতির দলের গতিবিধির উপরে নজর রাখছেন বন কর্মীরা।” এ দিকে, বছরভর হাতির দৌরাত্ম্যে বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা হাতিদের অন্যত্র সরানোর দাবি তুলেছেন।
|