জঙ্গলের জীবজন্তুদের ‘স্বার্থে’ রাজ্যের বিভিন্ন অভয়ারণ্যে রবার বাগান কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা প্রশাসন।
রাজ্যের কয়েকটি অভয়ারণ্যে বিশাল এলাকাজুড়ে সরকারি উদ্যোগে রবার চাষ শুরু করা হয়। এ সবের পরিকল্পনা করেছিল ‘ত্রিপুরা ফরেস্ট ডেভলপ্মেন্ট কর্পোরেশন’ (টিএফডিসি)। বনাঞ্চলে চাষ না-করার কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার কথা জানিয়ে বিধানসভায় আপত্তি তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বদলায়নি। সরকারি সূত্রের খবর, অভয়ারণ্যে রবার চাষের পরিকাঠামো গড়তে কয়েক কোটি টাকা খরচ করা হয়। চাকরি দেওয়া হয় কয়েকজনকে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জঙ্গলে বরার চাষ বন্ধ করে ওই গাছগুলি কেটে ফেলার জন্য সম্প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন বনমন্ত্রী জিতেন চৌধুরী। বন দফতরের এক উচ্চপদস্থ অফিসার বলেন, “জঙ্গলে রবার বাগান বন্য-জীবনে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে। তৃণভোজী প্রাণীরা রবার গাছের পাতা খায় না। রবার বাগানের আশপাশে অন্য প্রজাতির গাছ, লতাপাতাও জন্মাচ্ছে না। নষ্ট হচ্ছে বনের পরিবেশ। ছোট প্রাণীগুলির খাদ্য সমস্যাও তৈরি হচ্ছে।”
বন দফতরের কর্তা দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সিপাহিজলা, তৃষ্ণা-সহ রাজ্যের সমস্ত অভয়ারণ্যে ধাপে ধাপে রবার গাছগুলি কেটে ফেলা হবে। এ জন্য বছরতিনেক সময় লাগবে।’’ তিনি জানান, কয়েক বছর আগে রাজ্যের চার-পাঁচটি অভয়ারণ্যে সরকারি খরচে রবার বাগান তৈরি করা হয়েছিল। এ বার গাছগুলি কাটতেও অনেক টাকা খরচ হবে। বন দফতর সূত্রের খবর, বাগানগুলিতে কর্মরত শ্রমিকদের অন্য কোথাও বহাল করবে সরকার।
কংগ্রেস নেতা রতনলাল নাথের প্রশ্ন, ‘‘এ ভাবে রাজ্যের কোষাগারের কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কোন স্বার্থে?’’ বন দফতরের ‘পরিকল্পনাহীন’ প্রকল্পের জন্য প্রশাসনিক ‘অদূরদর্শিতা’র দিকেই তিনি আঙুল তুলেছেন। বনকতার্রা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। |