অবশেষে গড়পঞ্চকোট পাহাড় থেকে নামল বাঁকুড়া থেকে ঢুকে পড়া দাঁতালটি। শুক্রবার দুপুরে পাহাড় থেকে নেমে হাতিটি পৌঁছয় পুরুলিয়া ২ ব্লক এলাকায়। পথে কিছু গ্রামে সামান্য ক্ষতি করেছে দাঁতালটি বলে জানিয়েছে বন দফতর। দিন দশেক আগে বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি, রঘুনাথপুর হয়ে পূর্ণবয়স্ক দাঁতালটি ঢুকেছিল নিতুড়িয়ার গড় পঞ্চকোট পাহাড়ে। বিষ্ণুপুর থেকে হুলাপার্টি এনে দাঁতালটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু করেছিল বন দফতর। কিন্তু, বারবারই হাতিটি পাহাড়ে থেকে নেমে ফের পাহাড়ে উঠে পড়ার ঘটনায় বন দফতর আশঙ্কা করেছিল পাহাড়েই স্থায়ী ভাবে ডেরা বাঁধতে চাইছে দাঁতালটি। বন দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাঁতালটি গিয়েছিল রঘুনাথপুর ২ ব্লকের নীলডি পঞ্চাযেত এলাকার পাবড়া পাহাড়ে। রাতের দিকে দাঁতালটিকে তাড়ানোর কাজ ফের শুরু করেন বনকর্মীরা। |
বাঁকুড়া ছেড়ে পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোট পাহাড়ে দিন দশেক আগে উঠে পড়েছিল এই দাঁতাল।
শুক্রবার পাহাড় থেকে নেমে চলে আসে পুরুলিয়া ২ ব্লকের বাটিকারা গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র |
পাবড়া থেকে মৌতোড় জলাধার পেরিয়ে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের ধানাড়া গ্রামের কাছে রাতে ফিরে এসেছিল দাঁতালটি। ওই গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সামান্য ক্ষতিও করেছিল। রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার সোমনাথ চৌধুরী বলেন, “পাহাড় থেকে দাঁতালটি নামার পরে আমরা চেষ্টা করেছিলাম যাতে ফের পাহাড়েই সে কোনও ভাবেই ফিরে না যায়।” বনকর্মীদের স্বস্তি দিয়ে আর পাহাড়মুখো না হয়ে রাতেই পাড়া ব্লকের এলাকা দিয়ে দুপুরের দিকে ঢুকে পড়ে পুরুলিয়া ২ ব্লক এলাকায়। বাতিকরা গ্রামের পাশে একটি পুকুরে নেমে এ দিন কিছুক্ষণ স্নান সারে ওই হাতিটি। পাশের জমি থেকে সব্জিও খায়। শুক্রবার রাতে ফের হাতিটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু করা হবে। |