সন্তোষ ট্রফির জন্য আবাসিক শিবির করতে চান না সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার টিডি সুভাষ ভৌমিক। বরং সেই টাকায় ফুটবলারদের নিয়ে ট্রফি শুরুর চার-পাঁচ দিন আগে আয়োজক রাজ্যে পৌঁছে যেতে চান তিনি। যাতে ওখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন বাংলার ছেলেরা।
শনিবার আইএফএ অফিসে সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সুভাষ। সঙ্গে ছিলেন কোচ শিশির ঘোষ ও গোলকিপার কোচ গৌতম সরকারও। ফুটবলারদের কী ভাবে বাছা হবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি অনুশীলনের পদ্ধতি নিয়েও প্রাথমিক কথাবার্তা হয়। আলোচনা করে বেরিয়ে সুভাষ বললেন, “সন্তোষের অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলারদের লিগের ম্যাচও খেলতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে ছেলেরা ক্লান্ত থাকবে। আমি তাই আলাদা করে কোনও আবাসিক শিবির করব না। আইএফএ সচিবকে অনুরোধ করেছি আবাসিক শিবিরের টাকায় সন্তোষ ট্রফি শুরুর চার-পাঁচ দিন আগে টিমকে আয়োজক রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।” |
যদিও সন্তোষ ট্রফি কোথায় হবে, কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে এই ট্রফি সংগঠনের জন্য বাংলা যে চেষ্টা করছে এ দিন তা স্বীকার করেন উৎপলবাবু। বললেন, “সন্তোষ ট্রফি আয়োজন করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। শুনেছি গোয়া ও হরিয়ানাও চেষ্টা চালাচ্ছে।”
এ দিকে আজ রবিবার থেকেই বাংলা দল নির্বাচনের কাজ শুরু করে দেবেন আশিয়ান জয়ী কোচ। ইস্টার্ন রেলওয়ে-ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ ম্যাচ দেখতে এ দিন বারাসত যাচ্ছেন সুভাষ। শিশির ঘোষ দেখবেন যুবভারতীতে ডালহৌসি বনাম জর্জ ম্যাচ। আর রবীন্দ্র সরোবরে এরিয়ান-জানবাজার ম্যাচে স্পটার হিসেবে থাকবেন গৌতম সরকার। সোমবারের মধ্যে আইএফএ-ও তাদের স্পটার ঠিক করে ফেলবে বলে জানালেন উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফুটবলার বাছার কাজ চলবে। অনুশীলন হবে সম্ভবত পুজোর পর। সুভাষ ভৌমিক বললেন, “সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফুটবলার বাছব। তারপর অনুশীলনের দিনক্ষণ ঠিক করব।”
গত মরসুমে তাঁর কোচিংয়েই আই লিগ জিতেছে চার্চিল ব্রাদার্স। অথচ এ মরসুমে তিনি কোনও দল পাননি। বাংলা দল নিয়েই তাই সুভাষের নতুন চ্যালেঞ্জ। “বাংলার ছেলেরা এ বার সন্তোষ ট্রফিতে এমন ফুটবল খেলবে, যা দেখে ভারতের সব কটা রাজ্য বলবে, এমন অসাধারণ ফুটবলও খেলা যায়!” কার্যত যেন ভারতের সব আই লিগ ক্লাবকেই পরোক্ষে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা। |