এক দিকে পেলে আবার সমালোচনার বাছা বাছা তির ছুড়ছেন তাঁকে লক্ষ করে। অন্য দিকে রক্তাল্পতা ধরা পড়ার পর তাঁর ডায়েট প্রোগ্রাম নিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন ক্লাব সান্তোস আর বার্সোলোনায়। বিশ্ব ফুটবলের স্পটলাইটে এখন তিনিই। তবু ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের ফুটবলারের পা মাটি থেকে সরে যায়নি। সাও পাওলোর সেই ছটফটে তরুণ এখনও যেন প্রবল ভাবে রয়ে গিয়েছেন। না হলে প্রাক মরসুম সফরে মালয়েশিয়ায় হঠাৎ কেন খুদে ফুটবলারদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়বেন নেইমার।
১৮ অগস্ট ন্যু কাম্পে বার্সেলোনার প্রথম ম্যাচের আগে প্রাক্তন সান্তোস কোচ মোরিসি রামালহোর মন্তব্য নিয়ে চাপা যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে দুই ক্লাবে। বার্সার চিকিৎসক আগেই বলে দিয়েছেন নেইমারকে ফিটনেসের চূড়ান্ত জায়গায় যেতে হলে ওজন বাড়াতেই হবে। রামালহো কিন্তু বলে দেন, “নেইমারের ওজন বাড়িয়ে ওর যা কিছু সেরা সব নষ্ট করে দেবে ওরা। ওর গতিও তার মধ্যে অন্যতম। বার্সায় জাভি, ইনিয়েস্তা আর মেসির মতো ছোটোখাটো চেহারার প্লেয়ার থাকলেও নেইমারের সঙ্গে ওরা এমন করবে সেটা কল্পনা করতে পারিনি। ওজন বাড়লে নেইমারের হাঁটুতে চোট লাগার প্রবণতা বাড়তে পারে। ব্রাজিলের রোনাল্ডোর যা হয়েছিল। সেটা কিন্তু ভয়ংকর একটা ঝুঁকি হয়ে যাবে।” |
মালয়েশিয়া একাদশের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে গোল করে নেইমার।
শনিবার ম্যাচে বার্সেলোনা জেতে ৩-১। ছবি: এএফপি
|
কুয়ালা লামপুরে তাঁর খুদে সমর্থকদের সামলাতে অবশ্য বিশেষ বেগ পেতে হয়নি ‘বার্সেলোনার বোমা’কে। অনবদ্য স্কিলে মোহিত করে দেওয়া তো ছিলই, একসঙ্গে ছবি তোলা, অটোগ্রাফ দিয়ে তিন বছর পর বার্সেলোনার এশিয়া সফর মাতিয়ে দিয়েছেন একাই। নেইমারের জনপ্রিয়তা এশিয়ায় যে কতটা সবথেকে ভাল বুঝতে পারছেন বার্সেলোনার নিরাপত্তারক্ষীরা। সান্তোসের বিরুদ্ধে ম্যাচের মতো শুক্রবার কুয়ালা লামপুরে বার্সার প্র্যাকটিসে হঠাৎ এক সমর্থক মাঠে ঢুকে পড়েন। নেইমারকে জড়িয়ে ধরার জন্য। নেইমারের কাছে যাওয়ার আগেই অবশ্য সেই সমর্থককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘ওয়ান্ডার কিড’-এর জনপ্রিয়তা অবশ্য যতই আকাশছোঁয়া হোক, কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে তাঁকে প্রাক্তন ক্লাব সান্তোসের প্রথম তিন ফুটবলারের মধ্যে ধরেন না। পরিসংখ্যানের দিক থেকে সান্তোসে পেলের পর ২১ বছর বয়সি ব্রাজিলিয়ানই সর্বোচ্চ গোলদাতা। পাঁচ মরসুমে নেইমার ১৩৮ গোল করেছেন সান্তোসের হয়ে। তবু পেলে বলছেন, “সান্তোসের দ্বিতীয় সেরা ফুটবলার বললেও নেইমারের পক্ষে সেটা বাড়াবাড়িই। ভাসকনসেলস আর কুটিনহো-র মতো দুর্দান্ত প্লেয়ারদের ভুললে চলবে না। তা ছাড়া আমাদের সময় এত প্রচারের আলোও ছিল না।” পেলের স্বদেশীয় সুপারস্টারকে নিয়ে এ রকম মন্তব্য অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও নেইমারকে লক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ফুটবলের থেকে চুলের স্টাইলের দিকে নজর বেশি।” |