টুকরো খবর
বোর্ড গড়তে শর্তসাপেক্ষে রাজি জোটে
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনে দলীয় প্রার্থীকে কংগ্রেস সমর্থন করলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বোর্ড গঠন করতে আপত্তি নেই তৃণমূলের। শুক্রবার কলকাতায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে বৈঠক করার পর এ কথা ঘোষণা করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য। উল্লেখ্য, গত বুধবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনে দলের তরফে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। অমলবাবু বলেন, “কংগ্রেস জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনে প্রার্থী না দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বোর্ড গঠন করতে আমাদের আপত্তি নেই। কংগ্রেস এ শর্তে রাজি হলে প্রয়োজনে সহকারী সভাধিপতি, কিছু কর্মাধ্যক্ষের পদ কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হবে।” জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলের নিরিখে কংগ্রেস দ্বিতীয় ও তৃণমূল তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জোট হলে কংগ্রেসও যে সভাধিপতির আসনের দাবিদার তা মেনে নিয়ে অমলবাবুর যুক্তি, “রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায়। জেলা পরিষদে তৃণমূলের সভাধিপতি নির্বাচিত হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় প্রচুর উন্নয়ন করবেন।” জেলা পরিষদের ২৬টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট ১৩টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস আটটি তৃণমূল ৫ আসন পায়। রাজনৈতিক মহলের মত, এ অবস্থায় সভাধিপতি নির্বাচনে বামেদের ভোট যদি ঠিকঠাক পড়ে, কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্যরা তৃণমূলের সভাধিপতি প্রার্থীকে ভোট দিলেও সেই প্রার্থী ১৩-র বেশি ভোট পাবেন না। দুই তরফে ১৩টি করে ভোট পড়ার কথা। অমলবাবুর দাবি, “এক বাম সদস্য আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। সেই প্রার্থীটি কে বলব না।” জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “মোহিতবাবুর নেতৃত্বে আলোচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক বীরেশ্বর লাহিড়ী বলেন, “সভাধিপতি নির্বাচনে তৃণমূল ও কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। সভাধিপতি নির্বাচনে আমরাও প্রার্থী দেব।”

পুরনো খবর:
কোপে জখম সিপিএম-কর্মী
সিপিএমের এক কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম আবদুল বারিক নামে ওই সিপিএম কর্মীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ গিয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।” হরিশ্চন্দ্রপুরে কাতলামারি গ্রামে সিপিএমের উনসা হকের সঙ্গে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেওয়া বাসির শেখের বিবাদ দীর্ঘ দিনের। দুইজনের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ দিন সকালে জমি থেকে উনসা হকের ছেলে আবদুল বারিক বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে একা পেয়ে বাসির শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা বারিকের উপর চড়াও হয়। জখম বারিক জানান, প্রথম বাসির আমার মাথা লক্ষ করে গুলি চালিয়েছিল। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। পরে ছুরি দিয়ে কোপায়। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে বাসিররা পালিয়ে যায়। চোখের নিচে, গালে, ঘাড়ে আঘাত লেগেছে। সিপিএমের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ জোনাল সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য শেখ খলিল বলেন, “বসির দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.