এক দিনের ব্যবধানে দুই জেলায় নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও ক্যাম্পাস চালু হচ্ছে। ১৬ অগস্ট জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চালু, ১৭ অগস্ট কোচবিহার জেলার পুণ্ডিবাড়িতে মনীষী পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে। দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি ও জলপাইগুড়িতে ক্যাম্পাস চালু, এলাকার বাসিন্দাদের পুরানো দাবি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই দুটি দাবি বাস্তবায়িত করা গিয়েছে।”
পুন্ডিবাড়িতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ভবনে পঠনপাঠন শুরুর কাজ অনেকটা এগিয়েছে। প্রথম দফায় ৮টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ মিলবে। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, দর্শন, ইতিহাস ও ভূগোল বিষয়ে পাঠ্যক্রম সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ানো হবে। এবিএন শীল কলেজে চালু স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের মধ্যে সংস্কৃত ও জুওলজি পড়ার সুযোগ রয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এবিএন শীল কলেজের পাঠ্যক্রম উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন করেছে। মনীষী পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, “আগামী ১৭ অগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হচ্ছে।” বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, ইতিহাস ও দর্শনে ৪০টি করে আসন থাকছে। ভূগোলে আসন সংখ্যা ২০টি। এবিএন শীল কলেজে ইতিহাসে সংস্কৃতে ২৫টি এবং জুওলজিতে ২০টি আসন থাকছে। উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, “২ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির ক্ষেত্রে কোচবিহার আলিপুদুয়ার এলাকার ছাত্রছাত্রীদের ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত।” কৃষি খামারের ২০ একর জমিতে মনীষী পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভবনের জন্য চিহ্নিত হয়। জমি পরীক্ষা সহ কাজ চলছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চালুর প্রক্রিয়াও প্রায় সম্পূর্ণ। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্পাস -এ বাংলা, ইতিহাস, সংস্কৃত ছাড়াও ভুগোল নিয়ে পড়ার সুযোগ থাকছে। |