যদিও দার্জিলিঙের ডিএফও-র দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ওই জমিটি তাকদা ক্লাবকে লিজ দিয়েছিল বন দফতর। মূলত সেনাবাহিনীর অফিসাররা সেখানে যাতায়াত করতেন। সেনা ছাউনি অন্যত্র সরে যাওয়ায় অব্যবহারে ক্লাব ভবনটি জীর্ণ হয়ে যায়। পরে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জমিটি আইএসআই-কে সাব লিজ দিয়েছিলেন কি না, তা বন দফতরের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, কয়েক দশক আগে তাকদা ক্লাবের পক্ষ থেকে জমিটি আইএসআইকে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে বন বিভাগের সম্মতি প্রয়োজন। পুরনো দিনের নথিপত্র
কী বলছে? ওই বনকর্তা জানান, পাহাড়ে বন্ধ চলছে। অফিস পুরোপুরি সচল না হলে পুরনো নথিপত্র দেখা সম্ভব নয়।
আইএসআই-এর কর্মীদের দাবি, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ তাকদা বাজারের কাছে ওই জমিটি রাজ্যের বন দফতরের কাছ থেকে লিজে নিয়েছিলেন। সেই লিজের মেয়াদ ফুরোয়নি। লিজ বজায় রাখার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়, সবই আইএসআই করেছে। পরে ওই অঞ্চল দিয়ে যেতে যেতে মুখ্যমন্ত্রীর জায়গাটি পছন্দ হয় এবং সেখানে বনবাংলো গড়ে ওঠে। যা এ বার পুড়ে গিয়েছে। অভিযোগ, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে অনির্দিষ্ট কালের বন্ধ শুরুর আগে মোর্চাই ওই বাংলোয় আগুন লাগিয়েছে। শঙ্করবাবু অবশ্য এ সব বিতর্কে ঢুকতে চান না। তিনি চান, আইএসআই সম্পত্তি ফিরে পাক এবং সেখানে গবেষণাকেন্দ্র গড়ে উঠুক। যদিও মোর্চার সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং বলেন, “আইএসআইয়ের পক্ষ থেকে কালিম্পঙে গবেষণাগার তৈরির ব্যাপারে বৈঠকের কথা আমার জানা নেই। কিছু বলতে পারব না।”
মুখ্যমন্ত্রী যখন ওখানে বনবাংলো গড়ে তুলতে চাইলেন, তখন আইএসআই প্রকৃত তথ্য তাঁকে জানাল না কেন? সংস্থার মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক এস কে আইয়ার বলেন, “এ বিষয়ে কিছু জানি না। ১২ তারিখের পরে খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।” ঘনিষ্ঠ মহলে আইএসআই-এর কর্মীরা বলছেন, মোর্চা এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি বলেই সময়মতো বিষয়টি নিয়ে তৎপর হননি সংস্থার কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন এবং পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে বিতর্কটি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল।
হিতেনবাবু বলেন, “আইএসআই-এর দাবি নিয়ে কিছু জানি না। ওরা জানালে খোঁজ নেব।” কৃষ্ণেন্দুবাবুর কথায়, “দফতরের সচিবের সঙ্গে কথা বলে তথ্য জেনে বলব।”
|