এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে না-এমন অভিযোগ তুলে ধুলিয়ানের তৃণমূলের এক মহিলা কাউন্সিলারের বাড়িতে শুক্রবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ হামলা চালায় একদল গ্রামবাসী। ধুলিয়ানের ১ নম্বর ওয়ার্ড কৃষ্ণপুরপল্লির ওই কাউন্সিলরের নাম মাসুমা বেগম। তিনি ও তাঁর বাড়ির বেশিরভাগ লোকজনই সেই সময় নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। মাসুমা বেগমের অভিযোগ, “উন্নয়ন হয়নি এই অজুহাত গিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসী আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। ৭৫ বছরের বৃদ্ধা শাশুড়ি জাবেদা বেওয়াকে মারধর করে। তাঁকে অনুপনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।” পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ধুলিয়ানের উপ পুরপ্রধান তৃণমূলের দিলীপ সরকারের অভিযোগ, “সিপিএমের স্থানীয় নেতাদের উস্কানিতেই ঈদের দিনে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।’’ সিপিএমের কাউন্সিলর ও ধুলিয়ান পুরসভার বিরোধী দলনেতা সুন্দর ঘোষ অবশ্য বলেন,‘‘ এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্কই নেই। সিপিএমের কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঈদের আগে ওই এলাকায় রাস্তার জমা জল পরিষ্কার না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে ক্ষোভ জানাতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর বাড়ি থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় বলে শুনেছি। তাতে স্থানীয় এক বাসিন্দার মাথা ফেটে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখনই গ্রামবাসীরা বাড়িতে চড়াও হয়।’’ তবে এই ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
|
বেআইনিভাবে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রাখার অভিযোগে বৃহস্পতিবার নবদ্বীপ থেকে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার তাদের নবদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্তৃপক্ষ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোঁরা, মিষ্টির দোকানে অভিযান চালায়। ইন্ডিয়ান ওয়েলের ডেপুটি ম্যানেজার অলীক কুমার দে বলেন, “ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে গৃহস্থের জন্য বরাদ্দ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার না করে সেটা নিশ্চিত করতেই এই অভিযান। বেআইনিভাবে মজুত করা মোট আটটি সিলিন্ডার-সহ দুই ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছে।”
|
বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তহমিনা বেওয়া (৫৮) নামে এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জের মঙ্গলজন গ্রামে ইফতারের সময় প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে দেওয়ালে বিদ্যুতের তারে হাত দিতেই বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। |