ভোট যায়, ভোট আসে। রেখে যায় কিছু সমস্যা। সাধারণ মানুষকে মেনে নিতে হয় সেই সমস্যা। প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় দিন গোনা ছাড়া সেই সমস্যা নিস্তারের তেমন কেনও উপায় থাকে না। বেলডাঙার গোবিন্দসুন্দরী বিদ্যাপীঠের ফুটবল মাঠটি নির্বাচনী দাপাদাপিতে শুধু বেহালই নয়। তার সেরে ওঠার সম্ভাবনাও এখন বিশ বাঁও জলে। অসংখ্য গাড়ি, ভোট কর্মীদের আনাগোনায় ওই মাঠটি এখন কাদার স্তূপ। গত ২৯ জুলাই পঞ্চায়েতের ভোট গণনা হয় বেলডাঙা এসআরএফ কলেজে। সেই ব্যবস্থা করতে ও গত ২২ জুলাই সারা বেলডাঙা-১ ব্লক পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্ত যানবাহন রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল ওই মাঠে। কিন্তু তারপর থেকেই ওই নাঠটি খানা খন্দ গর্তে বেহাল। তার সঙ্গে বৃষ্টির জলে মাঠ কাদায় ব্যবহারের অযোগ্য। |
যারা মাঠে ফুটবল খেলে বা প্রাতঃর্ভ্রমণে যান, তারা মাঠ ব্যবহার করতে পারছেন না। বেলডাঙার প্রাক্তন ফুটবলার হাসান শেখ বলেন, “আমি ১৯৬৮ সালে জেলার ফুটবল একাদশের হয়ে বহরমপুরে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলেছি। এই মাঠ থেকেই আমার ফুটবলের হাতে খড়ি। মাঠে গিয়ে মাঠের চেহারা দেখে চোখে জল এসে গেল।”রোজ সকালে ওই মাঠে যাঁরা নিয়মিত তাঁরাও একই কথা বলছেন। তাঁদের কথায়, “মাঠে জল জমলে আর নামছে না। ফলে মাঠ এখন ডোবার চেহারা নিয়েছে।” স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত খান বলেন, “এলাকার এটা বড় ফুটবল মাঠ। ফলে ছাত্র থেকে ক্রীড়াপ্রেমী সকলের সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি।” বেলডাঙা-১ এর বিডিও সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। যে পাঁচিলটা ভাঙা হয়েছিল, তা মেরামত করা হয়েছে। বাকি মাঠের মেরামতি যত দ্রুত সম্ভব করার চেষ্টা হচ্ছে।” কিন্তু খাতায় কলমেই থমকে সেই চেষ্টা। |