ফের ‘জনতার শাসন’। এবং ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। শুক্রবারের ওই ঘটনা রঘুনাথগঞ্জে।
পুলিশ এসে জনতার হাত থেকে ওই পকেটমারকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করেছে। এ দিন সকালে, ভ্যানরিকশায় যাওয়ার সময়ে এক সহযাত্রীর পকেট মেরে চলন্ত যান থেকে লাফিয়ে নেমে পড়েছিল সে। অন্যরা তাড়া করলে চলন্ত এক মোটরবাইকে উঠে পড়েছিল ওই যুবক। হতভম্ব বাইক চালককে বুঝিয়েছিল, স্ত্রীর চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে এসেছিল সে। পকেটে টাকা থাকায় তা কেড়ে নিতেই কয়েক জন তাড়া করেছে তাকে। বাইক চালককে সে অনুরোধ করে শহরে এক আত্মীয় থাকে তার বাড়িতেই যেন নামিয়ে দেন তিনি। |
কিন্তু প্রায় আধঘন্টা ধরে শহর ঘুরেও সেই আত্মীয়ের বাড়ির হদিস দিতে না পারায় এ বার সন্দেহ হয় ওই বাইক চালকের। আরোহীকে সে বলে, এ ভাবে না ঘুরে ব্যাপারটা থানায় জানানো উচিত। কিন্তু থানার নাম শুনে বেঁকে বসে ওই যুবক। বলে, ‘যেখান থেকে উঠেছিলাম সেখানেই নামিয়ে দিন। চটি ফেলে এসেছি।’ ‘বিপত্তি’ ঘটল তাতেই। রঘুনাথগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাকে নিয়ে আসামাত্র স্থানীয় বাসিন্দারা রে রে করে তেড়ে আসেন। পালিয়ে যাওয়া পকেটমারকে এ বাবে হাতের নাগালে পেয়ে গিয়ে তার উপরে চড়াও হন তাঁরা। ল্যাম্পপোস্টের স ঙ্গে বেঁধে নিমেষে শুরু হয় ‘জনতার শাসন’। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে। পকেটমার সন্দেহে ওই যুবককে পরে গ্রেফতারও করে পুলিশ। জাহাঙ্গীর আলম নামে ধৃত ওই যুবককে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। |