টুকরো খবর
কলেজছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার
দুপুরে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরে আসেন ঘণ্টাখানেকের মধ্যে। তখন থেকেই তাঁকে মনমরা লাগছিল বলে দাবি ওই তরুণীর পরিবারের। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতেই ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পাটুলি থানা এলাকার নাকতলায়। পুলিশ জানায়, মৃতা শর্মিলা ঘোষ (২০) বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পুলিশ জেনেছে, ওই বিকেলে বাড়িতে একা ছিলেন শর্মিলা। তাঁর মা বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা বন্ধ। প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে শর্মিলার দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পাটুলি থানায় তাঁর বন্ধু ওই যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। মৃতার দাদার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ওই যুবক তাঁর বোনের গায়ে হাত তোলেন। গাঙ্গুলিবাগানের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে বছর পাঁচেকের সম্পর্ক থাকলেও ছেলেটি সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছিলেন। বিয়ে করবেন বলে শর্মিলার কাছে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেন। মৃত্যুর আগে কোনও কোনও বন্ধুর কাছেও শর্মিলা সে কথা বলেছিলেন বলে জেনেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বিকেলে কয়েকজন বন্ধুকে এসএমএস-এ শর্মিলা লেখেন, ‘তোরা ভাল থাকিস্! বাই!’ এক বন্ধু বলেন, “তখনই শর্মিলাকে ফোন করি। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল।”

প্রণবের সঙ্গে দেখা করতে চান আমিনুলের বাবা
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ছেলের মৃত্যুর তদন্তের সুবিচারের আর্জি জানাতে চান নিহত আমিনুল ইসলামের বাবা ইজহারুল ইসলাম। শুক্রবার কড়েয়ায় আমিনুলের বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। ছেলের মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী, তা উদ্ঘাটনে ইজহারুল সিবিআই তদন্ত চান। প্রদীপবাবু জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইজহারুলদের দেখা করার ব্যবস্থা করা হবে। কামদুনি-কাণ্ডের সুবিচারের আশায় স্থানীয়দের রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। পুলিশের নিস্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ৩ ডিসেম্বর কড়েয়া থানার সামনে গায়ে আগুন লাগান আমিনুল। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। সুইসাইড নোটে জানিয়েছিলেন, এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দুই নাবালিকার উপরে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল বলে তিনি কড়েয়া থানায় অভিযোগ করেন। এতে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হলে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুরনো খবর:

নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দেহ রাজাবাগানের পুকুরে
দোকান থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক ব্যবসায়ীর দেহ মিলল রাজাবাগান থানা এলাকার একটি পুকুরে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম শেখ পারভেজ আলম (৩৩)। তিনি আদতে বর্ধমানের বাসিন্দা। তাঁর মাথায় একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। কোমরে দড়ি বাঁধা ছিল। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, পারভেজের একটি মোবাইলের দোকান আছে রাজাবাগানের এ কে রোডে। তিনি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই এলাকাতেই থাকতেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে ফিরে আসবেন বলে বৃহস্পতিবার রাতে দোকান থেকে বেরোন তিনি। না-ফেরায় ওই রাতেই তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে রাজাবাগান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে এলাকারই একটি পুকুরে ওই ব্যবসায়ীর দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজাবাগান থানায় খবর দেন। কেউ গ্রেফতার হয়নি। কে বা কারা তাঁকে কেন খুন করল, ভেদ হয়নি সেই রহস্যও।

আংশিক সময়ের শিক্ষকদের দাবি
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। সেই সুবাদে শিক্ষক সংসদ ও কলেজ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। আন্দোলনও চালাচ্ছেন। কিন্তু আইনে সংস্থান না-থাকায় শিক্ষক সংসদ বা পরিচালন সমিতিতে তাঁদের রাখা যায়নি। তাঁরা শিক্ষক সংসদে থাকতে পারবেন কি না, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কাছে সেই বিষয়ে পরামর্শ চাইবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তবে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে সরকার এখনই কিছু ভাবছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সম্প্রতি সাঁতরাগাছির ড. কানাইলাল ভট্টাচার্য কলেজে শিক্ষক সংসদের নির্বাচনে যোগ দেন। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে।

মহাকরণ ফাঁকা করতে বৈঠক
মহাকরণ থেকে সব দফতর হাওড়া মন্দিরতলার এইচআরবিসি-র বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্ঘণ্ট ঠিক করতে আজ, শনিবার প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ১ অক্টোবর থেকে মহাকরণের সব দফতর সরে যাবে ওই ভবনে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দফতর সরানোর কাজ যাতে সুষ্ঠু ভাবে শেষ করা যায়, তা সুনিশ্চিত করাই আজকের বৈঠকের লক্ষ্য। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবেরা ছাড়াও হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট, হাওড়া পুরসভা, হাওড়া পুলিশ এবং এইচআরবিসি-র কর্তারা ওই বৈঠকে থাকবেন।

পুরনো খবর:

ঝিলে স্নান করতে গিয়ে মৃত্যু
নিউ টাউনে ঝিলে স্নান করতে নেমে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায়, প্রভু (২৩) নামে ওই যুবকের বাড়ি তামিলনাড়ুতে। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজের সূত্রে তিনি নিউ টাউনে থাকতেন। তিন বন্ধুকে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে মহিষবাথান এলাকায় বাড়ির কাছেই একটি ঝিলে স্নান করতে যান প্রভু। বন্ধুরা পুলিশকে জানান, প্রভু সাঁতার কেটে অন্য পাড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ হাবুডুবু খেতে খেতে তলিয়ে যান তিনি। বন্ধুরা চেষ্টা করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রভুর তামিলনাড়ুর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।

ছুটির দিনে ব্যাঙ্কে আগুন
লেনিন সরণিতে শুক্রবার সকালে একটি বহুতলের একতলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আগুন লাগে। কম্পিউটারের সার্ভার রুম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে ব্যাঙ্কের এক রক্ষী দমকলে খবর দেন। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। দমকল জানায়, এ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। কিন্তু বাতানুকূল যন্ত্র চালু ছিল সার্ভার রুমে। শর্ট সার্কিট থেকেই এসিতে আগুন লাগে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগুনে দু’টি এসি মেশিন বিকল হয়ে যায়।

ঝোপে মৃতদেহ
নারকেলডাঙা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল শিয়ালদহ জিআরপি। শুক্রবার বেলা ৩টে নাগাদ নারকেলডাঙা কারশেডের কাছে ঝোপের মধ্যে দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। নিহতের মুখে ক্ষতচিহ্ন ছিল। পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

ঝুলন্ত দেহ
বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার ব্যানার্জিপাড়ায় এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম ডালিয়া সেনগুপ্ত (৩৯)। শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন তাঁকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশ গিয়ে দেহটি নামায়।

সশস্ত্র যুবক ধৃত
সল্টলেকের লাবণি বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সন্ধ্যায় অস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম কার্তিক দে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.