পুজোর বাকি আর দু’মাস। তার মধ্যেই শিল্পীদের সঙ্গে কারিগরদের বকেয়া পাওনা নিয়ে বিবাদের জেরে কুমোরটুলির কয়েকটি গোলায় দু’দিন কাজ বন্ধ থাকল। প্রতিমা শিল্পীরা জানিয়েছেন, কুমোরটুলিতে রয়েছে তিনটি সমিতি। সেগুলি হল কুমোরটুলি প্রগতিশীল মৃৎশিল্প ও সাজশিল্প সমিতি, কুমোরটুলি মৃৎশিল্প ও সংস্কৃতি সমিতি এবং কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সমিতি। সমস্যা দেখা দিয়েছিল কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সমিতির শিল্পী ও কারিগরদের মধ্যে। মৃৎশিল্প সমিতির সম্পাদক মন্টু পাল শুক্রবার বলেন, “সমিতির কয়েক জন কারিগর দাবি করেন, গত দু’বছরের পাওনা বাকি রয়েছে। সেই নিয়ে শিল্পীদের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ হয়। ওই কারিগরেরা জানান, তখনই পাওনা না মেটালে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার শিল্পীরা কারিগরদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনও সমাধানসূত্র না বেরোনোয় দু’দিন কাজ বন্ধ ছিল।” |
বকেয়া পাওনা মেটানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার কারিগরেরা কুমোরটুলিতে মিছিলও করেন। মন্টুবাবু বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পীরা কারিগরদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছেন। আজ, শনিবার সকাল থেকে কারিগরেরা কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।” পুজোর মাত্র মাস দুই আগে কুমোরটুলিতে এখন শিল্পীদের ব্যস্ততা চরমে। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, কুমোরটুলির তিনটি সমিতির মধ্যে মৃৎশিল্প সমিতির অধীনে সব থেকে কম সংখ্যক কারিগর রয়েছেন। তাই দু’দিন কাজ বন্ধ থাকলেও তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন শিল্পীরা। |