দিনেদুপুরে ফ্ল্যাটে ডাকাতির পাশাপাশি পরপর বড়সড় দু’টি চুরির ঘটনাও ঘটেছে পাটুলি থানা এলাকায়। দু’সপ্তাহ আগেও বাঘাযতীনের ফুলবাগানে একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তার কিনারার আগেই পরপর দু’দিন
দু’টি বাড়িতে কয়েক লক্ষ টাকা চুরি হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই অঞ্চলে।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে পাটুলির অশোকা রোডের একটি দোতলা বাড়িতে। পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির একতলার বাসিন্দা মলয় সরকার স্ত্রীকে নিয়ে কয়েক দিন আগে দিল্লি গিয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে ওই একতলা বাড়িতে মলয়বাবুর মেয়ে মধুরিমা সরকারের থাকার কথা ছিল। তবে তিনি সে দিন ছিলেন না। পরে বৃহস্পতিবার মধুরিমা বাড়িতে এলে দেখতে পান, জানলা ভাঙা। কাটা হয়েছে গ্রিল এবং বাড়ির ভিতরে সব জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড। এর পরেই খবর দেওয়া হয় মলয়বাবুকে। রাতেই তাঁরা পাটুলি থানায় খবর দেন। শুক্রবার মলয়বাবুর স্ত্রী রূপসা সরকার জানান, বাড়ির ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা দু’টি আলমারিতে থাকা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা ও হিরের গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ওই বাড়ির দোতালায় মলয়বাবুর আত্মীয়েরা থাকলেও তাঁরা কোনও কিছুই টের পাননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই রাতেই অপর চুরির ঘটনাটি ঘটেছে পাটুলি থানার নাকতলায়। এ ক্ষেত্রেও বাড়িটি ফাঁকা ছিল। পুলিশ জানায়, বাড়ির সকলের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢোকে। আলমারি ভেঙে টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট দেয় তারা। অভিযোগ, কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না খোয়া গিয়েছে ওই বাড়ি থেকে।
এ দিকে, পাটুলির কেন্দুয়ায় বুধবার দুপুরের ডাকাতির ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তকারীরা জেনেছেন, স্থানীয় এক জন কাঠের মিস্ত্রি ওই ঘটনায় জড়িত। বাদশা নামের ওই মিস্ত্রির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
গোয়েন্দারা জানতে পরেছেন, ডাকাতির তিন দিন আগে ওই ফ্ল্যাটে কাঠের কাজ করেছিল বাদশা। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বাদশাই প্রথমে ওই ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা মারে এবং বাবন নামে এক মিস্ত্রির নাম ধরে ডাকে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবনও কাঠের মিস্ত্রি। সে-ই বাদশাকে ওই ফ্ল্যাটে কাজে লাগিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ছ’জন দুষ্কৃতী সে দিন ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয়। বাদশাই ওই ঘটনার মূল চক্রী বলে অনুমান পুলিশের। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, ডাকাতিতে জড়িত ওই দুষ্কৃতীরা সকলেই সম্ভবত দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দা।
|