বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলেকে মারধর করে, আলমারি খুলে টাকা, গয়না, ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দিল ডাকাতদল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাটুলির কেন্দুয়া মেন রোডে তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে ওই ঘটনা ঘটে। জনবহুল এলাকায় এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, ৩২৯ নম্বর কেন্দুয়া মেন রোডের ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা তমাল ঢালি। এ দিন সকালে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সোমা অফিসে বেরিয়ে যান। বাড়িতে ছিলেন তাঁর বৃদ্ধা মা কাননদেবী ও ভাই রনিত। রনিত পুলিশকে জানান, পৌনে ২টো নাগাদ পরিচিত এক যুবকের নাম বলে কিছু যুবক কলিং বেল বাজায়। তখন কাননদেবী স্নান করছিলেন।
রনিতের অভিযোগ, তিনি দরজা খোলা মাত্র পাঁচ-ছ’জন যুবক রনিতকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। তাঁকে কিল, চড়, লাথি মারতে থাকে ওই যুবকেরা। কাননদেবী চানঘর থেকে বেরোলে দুষ্কৃতীরা তাঁকেও মারে বলে অভিযোগ। রনিত পুলিশকে জানান, এক দুষ্কৃতী তাঁর মাথায় রিভলভারের বাট দিয়ে মারে। অন্য এক জন বলে, আলমারির চাবি না দিলে ভোজালি দিয়ে কোপানো হবে।
কাননদেবী পুলিশকে জানান, ভয়ে তিনি আলমারি খুলে দেন। ডাকাতেরা সেখান থেকে ৭-৮ ভরি সোনার গয়না, নগদ আড়াই হাজার টাকা বার করে নেয়। হাতিয়ে নেয় একটি ল্যাপটপও। পুলিশের সন্দেহ, স্থানীয় কেউ এতে জড়িত। যে যুবকের নাম করে দুষ্কৃতীরা কলিং বেল বাজিয়েছিল, সে এলাকার এক ছুতোর মিস্ত্রি বলে জেনেছে পুলিশ। তাকে ও তাঁর কর্মচারিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দুয়া রোডে গলির একেবারে শেষ প্রান্তের ওই ফ্ল্যাটবাড়ির সামনে পুলিশ টহল দিচ্ছে। পুলিশ জানায়, কাননদেবীকে পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। রিভলভারের বাট দিয়ে মারায় রনিতের মাথায় চোট লাগে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। |