গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফের গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করলেন এক মোর্চা সমর্থক।
বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিঙে মশাল মিছিল করছিলেন মোর্চার কর্মী-সমর্থকেরা। জেলাশাসকের দফতরের সামনে আচমকা তাঁদের মধ্য থেকে ফুর্বা শেরপা নামে বছর বত্রিশের এক প্রতিবন্ধী যুবক হাতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। তবে মিছিলে থাকা মোর্চার লোকজন দ্রুত আগুন নেভান।
ভক্তেবস্তি এলাকার বাসিন্দা ফুর্বা দার্জিলিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা করেছে।
আন্দোলনের সমর্থনে চকবাজার এলাকায় মোর্চার আট মহিলা কর্মী এ দিন মাথা মুড়িয়ে ফেলেছেন। নারী মোর্চার নেত্রী রায়মন্তি রাইয়ের বক্তব্য, “চুল মহিলাদের অলঙ্কার। চুল কেটে ফেলে রাজ্য সরকারকে বার্তা দিতে চেয়েছি, আমরা যে কোনও আত্মত্যাগে প্রস্তুত।” এ দিনই চকবাজারে ৪০ জন মোর্চা সমর্থক খালি গায়ে প্রায় দু’কিলোমিটার পথ গড়িয়ে পার হন।
পক্ষান্তরে ‘কমিউনিস্ট পার্টি অব রেভোলিউশনারি মাকর্সিস্ট’ (সিপিআরএম)-এর শতাধিক সমর্থক এ দিন দার্জিলিঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মিছিল করেন। মোর্চা সমর্থকেরা করতালি দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান। সিপিআরএমের যুব সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত শেখর ছেত্রী বলেন, “মোর্চার সঙ্গে আমাদের আর্দশগত মিল না থাকলেও পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্দোলনের প্রয়োজন বলে মনে করি।” সিপিআরএমের মিছিলকে দার্জিলিং চকবাজারে স্বাগত জানান মোর্চার সহ-সম্পাদক বিনয় তামাং। মোর্চার দাবিকে সমর্থন করে এ দিন থেকে সিকিমেও ‘ইস্ট ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স চত্বরে রিলে অনশনে বসেছে স্থানীয় ‘জনমুক্তি চালক মহাসঙ্ঘ’। সংগঠনের সভাপতি রাকেশ সিংহ জানান, অনশন চলবে আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত। |