দিল্লি কিংবা মহাকরণ, টানা বনধের মোকাবিলায় কোথাও একটা সমাধান সূত্র হয়তো শেষ পর্যন্ত মিলবে। কিন্তু, আগামী দিনে ফের পাহাড় উত্তপ্ত হতে পারে। আবারও অশান্ত হতে পারে দার্জিলিং। সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখে পাহাড়ে এ বার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিল রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দুটি বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের পুলিশ-প্রশাসনের শূন্যপদ পূরণ তো বটেই, প্রতিটি মহকুমা, ব্লকে তদারকির জন্য পদস্থ অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের গাড়ির সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দোপাধ্যায়ের দুদিনের দার্জিলিং সফরের পরে অনেক তথ্য, অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের পদস্থ অফিসার, ব্যবসায়ী সংগঠন, পাহাড়ের বিশিষ্টজনদের মতামতও নিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব।
পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিসার-কর্মী, গাড়ির অভাব, আরও অর্থ বরাদ্দের আর্জি জানানো হয়েছে। এমনকী, পাহাড়ে মোতায়েন বাইরের বাহিনীর জন্য যে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে তা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। কয়েকটি থানায় পেট্রোল, ডিজেল বাবদ বহু লক্ষ টাকা বকেয়া থাকার বিষয়টিও নজরে আনা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিবের। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ কর্তা জানান, সব দিক মাথায় রেখেই সরকারের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রটি জানিয়েছে, পাহাড়ের মহকুমায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রক্রিয়া চলছে। তিন মহকুমায় এসআই, এএসআই, কনস্টেবল ও হোমগার্ডের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। মিরিক, গরুবাথান ব্লকে তদারকির জন্য ডিএসপিদের দায়িত্ব দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জাভেদ শামিমকে কালিম্পং ও কার্শিয়াঙের বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে জলপাইগুড়ির স্পেশাল আইজি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। দার্জিলিঙে একজন এএসপি (অপারেশন) ও এএসপি (গোয়েন্দা) পদ তৈরি করে দুজনকে পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে। |