পাঠ্যক্রমের পাঠের সঙ্গে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার মিল ঘটছে না, এমন অভিযোগ নতুন নয়। সেই সমস্যার সমাধানে শিল্পমহলের সঙ্গে আলোচনা করে পাঠ্যক্রম তৈরি করা, পড়ুয়াদের শিল্প সংস্থায় প্রশিক্ষণে পাঠানো ইত্যাদি ব্যবস্থা করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বার এই উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করল বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ গোষ্ঠী ‘জেআইএস’। ওই গোষ্ঠীর পাঁচটি কলেজের ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী সম্প্রতি প্রশিক্ষণ নিয়ে এলেন ব্যাঙ্ককের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এআইটি) থেকে। দেশ-বিদেশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের পড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শিখিয়েছেন কাজের দুনিয়ার নানান আদবকায়দা।
গত ২২ জুলাই থেকে ১ অগস্ট পর্যন্ত এআইটি-তে প্রশিক্ষণ পর্ব চলে ওই ৩৫ জনের। পঞ্চম সেমেস্টার পর্যন্ত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ওই ছাত্রছাত্রীদের বাছাই করা হয়েছে। সকলেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া। জেআইএস গোষ্ঠীর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বিদ্যুৎ মজুমদার জানান, প্রশিক্ষণের শেষে ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র দিয়েছে এআইটি। আগামী বছরগুলিতেও এমন প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হবে। জেআইএস এবং এআইটি-র মধ্যে ছাত্র ও শিক্ষক আদানপ্রদান, যৌথ উদ্যোগে গবেষণা ইত্যাদির জন্য চুক্তিও চলতি মাসেই। |
শুধু ছাত্রছাত্রীদের কাজের দুনিয়ার যোগ্য করে তোলাই এই প্রয়াসের লক্ষ্য নয়। জেআইএসের এই উদ্যোগের পিছনে আরও একটি কারণ আছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ ফেরানো। কারণ, ডিগ্রি অর্জনের পরেও চাকরি পেতে সমস্যা হওয়ায় গত কয়েক বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগ্রহ কমে গিয়েছে। এ বারেও পশ্চিমবঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৩০ হাজার আসনের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ফাঁকা পড়ে আছে। পরিস্থিতি বুঝে ছাত্রছাত্রীদের বাড়তি কিছু দেওয়ার জন্যই জেআইএস-এর এই উদ্যোগ। ডিগ্রি পাওয়ার আগে বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিতে পেরে রীতিমতো উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীরা। প্রশিক্ষণের শেষ দিনে ব্যাঙ্ককে এআইটি-র ক্যাম্পাসে ক্লাসের ফাঁকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রী পায়েল মুখোপাধ্যায় বললেন, “ব্যাঙ্ককের এই প্রতিষ্ঠানে পরিকাঠামো অনেক উন্নত। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগাযোগও অনেক গভীর। এখানে এসে একটা অন্য রকম অভিজ্ঞতা হল।” অন্য এক ছাত্র স্বরূপ সেন চৌধুরীরও একই মত। |