|
|
|
|
প্রধান শিক্ষিকাকে মার প্রাক্তন ছাত্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি ও তমলুক |
স্কুলে পড়ার শংসাপত্র নিতে এসে বাবার নামের মধ্যপদ বদলাতে চেয়েছিল প্রাক্তন ছাত্র। সেই আবদার না শোনায় প্রধান শিক্ষিকার মাথা দেওয়ালে ঠুকে, মাটিতে ফেলে মারধর করল সে। মঙ্গলবার বিকেলে ভূপতিনগর থানার পূবর্চক বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। নিগৃহীতা প্রধান শিক্ষিকা শিবানী পড়ুয়া (বাঁশ) তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বছর বাইশের প্রাক্তন ছাত্র ভগীরথ সাহু ও তাঁর সঙ্গে আসা কাকা শম্ভুনাথ সাহুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিবানীদেবী। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনেই পলাতক।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টে নাগাদ পেশায় দিনমজুর পূবর্চক গ্রামের ভগীরথ সাউ কাকা শম্ভু সাউকে নিয়ে স্কুলে আসে। শিবানীদেবীর কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার একটি শংসাপত্র চায় সে।
শিবানীদেবী শংসাপত্র লিখতে গেলে ভগীরথ জানায় স্কুলে তার বাবার নাম অক্ষয়নারায়ণ সাউ থাকলেও শংসাপত্রে অক্ষয়কুমার সাউ লিখে দিতে হবে। প্রধান শিক্ষিকা নামবদল করতে অস্বীকার করলে গণ্ডগোল শুরু হয়। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শিবানীদেবী বলেন, ‘‘দু’জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। শাড়ি ধরে টানাটানি ও ধাক্কাধাক্কি করে। ভগীরথ স্কুলের অফিস ঘরের দেওয়ালে আমার মাথা ঠুকে দেয়। মাটিতে ফেলে লাথি মারে।”
বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলের বারান্দায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাতে যোগ দেন স্থানীয় কিছু অভিভাবকও। স্কুলে পড়ুয়ারা বিশেষ আসেনি ক্লাসও হয়নি।
এদিকে স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে স্মারকলিপি দেয় এসইউসি প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় প্রাথমিক সমিতি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফেও তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গোপাল সাহু বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|