এনসিএ-র পূর্বাঞ্চলীয় অ্যাকাডেমি আসতে পারে বাংলায়
ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে নাম উঠল দ্রাবিড়ের
ব কিছু ঠিকঠাক চললে, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পূর্বাঞ্চলীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি হতে পারে বাংলায়। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি নিয়ে বোর্ড কর্তাদের বৈঠকে এমনটাই ঠিক হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের নামও এ দিন উঠে পড়ল। ব্যাপারটা চূড়ান্ত কিছু নয়। তবে আপাতত দ্রাবিড় ছাড়া কারও নাম আর ওঠেনি।
এই মুহূর্তে এনসিএ-র অধীনে তিনটি আঞ্চলিক অ্যাকাডেমি আছে। মোহালি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ে। অর্থাৎ, উত্তরাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে। এ দিন ঠিক হয়েছে পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলেও ক্রিকেট অ্যাকাডেমি খোলা হবে। এবং এ দিনের বৈঠকে বোর্ড কর্তাদের মনে হয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় অ্যাকাডেমির জন্য বাংলাই সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। যাতায়াতের সুযোগ-সুবিধেও অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বাংলায় অনেক ভাল। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে উপস্থিত থাকা এনসিএ কমিটির সদস্য বিশ্বরূপ দে এ দিন রাতে ফোনে বলছিলেন, “বাংলায় অ্যাকাডেমি গড়ার প্রস্তাবে সবাই মোটামুটি মত দিয়েছেন। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটিতে।”
জানা গেল, ব্যাটিং-বোলিং সব কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে বাংলার অ্যাকাডেমিতে। তবে দায়িত্ব নিয়ে কে আসবেন, সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
এবং উপরোক্ত প্রস্তাব যদি বঙ্গ ক্রিকেটমহলে সুখবর হয়, তা হলে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সার্বিক অবস্থা মোটেই সুবিধের নয়। বোর্ডের কর্তাদের তেমনই মনে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শুরুতেই প্রবল ধাক্কার সামনে পড়তে হয় বোর্ড কর্তাদের যখন তাঁরা জানতে পারেন যে, এনসিএ-র জমি কিনতে গিয়ে বড়সড় চোট খেয়েছে বোর্ড! জমি নিয়ে জালিয়াতির চক্করে বেরিয়ে গিয়েছে পঞ্চাশ কোটি টাকা! আর সেই টাকা অনুমোদন করেছেন গুরুদত্ত শানবাগ নামের কেউ একজন, যাঁর কিনা ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে নূন্যতম সম্পর্ক নেই। দেশের কোনও ক্রিকেট সংস্থারই তিনি কোনও পদাধিকারী নন। এ রকম মারাত্মক খবরের কথা জানাজানি হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বোর্ডে তা হলে প্রশাসন বলে কি কিছুই নেই? বোর্ডের নাম করে যে কেউ কোটি কোটি টাকা নয়-ছয় করে দিতে পারছেন? আরও আছে। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি-র জন্য জমি যদি জালিয়াতির ফাঁসে আটকে থাকে, তা হলে দ্বিতীয় ধাক্কা হচ্ছে যোগ্য কোনও প্রশিক্ষক না পাওয়া। না ব্যাটিংয়ে, না বোলিংয়ে! দীর্ঘ দিন ধরে এনসিএ-র ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত থাকা নানাবতী ইস্তফা দিয়েছেন।
ভরত অরুণ ইস্তফা এখনও না দিলেও, যে কোনও দিন জমা করে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনসিএ-র আলাদা করে এখন কোনও ডিরেক্টরও নেই। অতঃকিম?
যা ঠিক হয়েছে, আপাতত পেস বোলার তুলে আনতে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে গাঁটছড়ায় যাচ্ছে এনসিএ। যাতে ভারতীয় ক্রিকেটের পেস ব্যাটারিতে টান না পড়ে। ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে কে আসবেন, চূড়ান্ত নয়। কিন্তু জানা গেল, এ দিনের বৈঠকে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম প্রস্তাব করেছেন বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর।
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি স্থানান্তরিত করা নিয়েও মতভেদের কথাও শোনা যাচ্ছে। বোর্ড কর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সঙ্গে এনসিএ লাগোয়া। খুব বড় মাঠও নেই। তাই এনসিএ-কে স্থানান্তরিত করার একটা ভাবনা চলছিল। কিন্তু কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার সেটা এবার পছন্দ নয়। অনিল কুম্বলের কেএসসিএ নাকি চাইছে, তাদের নিজস্ব যে অ্যাকাডেমি তৈরি হচ্ছে, সেটা দরকারে ব্যবহার করুক এনসিএ। স্থানান্তরিত করার দরকার নেই।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.