|
|
|
|
তোলাবাজির টাকা না পেলে মিড-ডে মিলে বিষ মেশানোর হুমকি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
তোলার টাকা না পেলে ‘মিড-ডে মিলে’ বিষ মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিল দুষ্কৃতীরা। রাঁচির কাছে বুণ্ডুতে একটি প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষিকাকে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অপহরণ কিংবা খুনের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা খুবই সাধারণ ঘটনা। কিন্তু টাকা না দিলে ‘মিড ডে মিলে’ বিষ মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি কাযর্ত নজিরবিহীন। গত কাল রাতে বুন্ডু থানায় রমা তিওয়ারি নামে এক স্কুল-শিক্ষিকার অভিযোগ নিয়ে সোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। বুণ্ডু থানার পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষিকার কাছে ষাট হাজার টাকা চেয়েছে দুষ্কৃতীরা। রমা দেবী একজন পার্শ্ব-শিক্ষক। তাঁর স্বামী কলেজে পড়ান। স্কুলে থাকতে গেলে তাঁকে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের টাকা দিয়ে চাকরি করতে হবে---এমনই দাবি দুষ্কৃতীদের। শিক্ষিকার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দুষ্কৃতীদের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য বিহারে মিড ডে মিলে বিষক্রিয়ার জেরে ছাত্রছাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনার আতঙ্ক দেশের বিভিন্ন স্কুলের কর্তৃপক্ষের মধ্যেই রয়েছে। ফলে এ ধরনের হুমকি আসায় বুণ্ডুর গোসাইডিহি গ্রামের ওই স্কুলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রমাদেবীর বক্তব্য, কয়েক দিন ধরেই কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে বিরক্ত করছে। তাঁর কাছ থেকে ষাট হাজার টাকা তোলা বাবদ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি টাকা দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “টাকা না দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা আমায় স্কুলের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমাকে ফাঁসাতে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার হুমকিও ওরা আমায় দিয়েছে।” রমাদেবীর পরিবারের অভিযোগ, দু’দিন আগেই ওই শিক্ষিকাকে শাসানি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রথমে ঘটনার গুরুত্ব দিতে চায়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে চাপ দেওয়ায় গত কাল রাতে, পরে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়।
গোসাইডিহির ওই স্কুলটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। রমাদেবী ও অন্য একজন সম্পূর্ণ সময়ের শিক্ষক মিলেই স্কুলটি চালান। হুমকির পরেই ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কারণে গত দু’দিন ধরে স্কুলের প্রধান গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বাইরের অচেনা লোকজন স্কুলে যাতে ঢুকতে না পারে, সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। |
|
|
|
|
|