গত বছর জুন মাসে মহারাষ্ট্রের সচিবালয়ে আগুন লেগে ৬ জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই নড়েচড়ে বসেছিলেন মহাকরণের কর্তারা। উদ্বিগ্ন হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মহাকরণ সংস্কারের ভাবনার সেটাই সূত্রপাত।
পূর্ত এবং দমকল বিভাগের আধিকারিকেরা গোটা বাড়িটাকেই বিপজ্জনক আখ্যা দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহাকরণে এই মুহূর্তে যত দফতর রয়েছে তার চাপ নেওয়া ক্ষমতা এই বাড়ির নেই। অবিলম্বে অন্তত অর্ধেক দফতরকে অন্যত্র সরানো দরকার। এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তাঁর দফতর এইচআরবিসি-র বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে কাজটা সহজ করে দিয়েছেন।
তবে দু’মাসেরও কম সময়ে মহাকরণকে অন্যত্র সরানো কতটা সম্ভব, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের মন্তব্য, “এই সিদ্ধান্ত বাস্তবোচিত নয় তো বটেই, একেবারে অরাজক। মনে হচ্ছে, জ্বলন্ত সব সমস্যা ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী ১৪ তলা থেকে গঙ্গাদর্শন করতে যাচ্ছেন।” সূর্যবাবুর ব্যাখ্যা, একলপ্তে এই কাজ করতে গেলে ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সরকারের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। তা ছাড়া এত ফাইলপত্র, লোকলস্কর গঙ্গা পেরিয়ে নিয়ে যাওয়াও বিপুল ঝক্কি। তাঁর মতে, পর্যায়ক্রমে কিছু কিছু দফতর সরিয়ে সংস্কারের কাজ করলে খরচও কম হতো, নৈরাজ্যের আশঙ্কাও থাকত না।
তৃণমূল সূত্রে অবশ্য পাল্টা বলা হচ্ছে, মহাকরণের এই হাল দেখেও বামফ্রন্ট সরকার বছরের বছর চোখ বুজে ছিল। আর এখন যদি সেখানে কোনও দুর্ঘটনা হয়, তা হলে তারাই সরব হবে সবচেয়ে বেশি। |