রাজ্যে ফোর-জি পরিষেবার পরিধি বাড়াচ্ছে এয়ারটেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাজার দখলের লড়াইয়ে টক্কর দিতে খাস কলকাতা ছাড়িয়ে এ বার ফোর-জি পরিষেবার ব্যাপ্তি বাড়াতে উদ্যোগী এয়ারটেল। আগামী বছরের গোড়াতেই পশ্চিমবঙ্গে ফোর-জি পরিষেবায় আসতে চায় মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স জিও ইনফোকম। তাদের এই প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে তার আগেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে এই উদ্যোগ এয়ারটেলের। উল্লেখ্য, গত বছর এয়ারটেলের হাত ধরেই দেশে প্রথম ফোর-জি পরিষেবা চালু হয় কলকাতায়। এই পরিষেবা দুটি প্রযুক্তি নির্ভর লং টার্ম ইভোলিউশান (এলটিই) ও ওয়াই-ম্যাক্স। এয়ারটেল খাস কলকাতায় এলটিই পরিষেবা চালু করেছে। বৃহস্পতিবার সংস্থার পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান পি ডি শর্মা জানান, এ বার কলকাতা সার্কেলে তাদের পরিষেবা সম্প্রসারিত হবে হাওড়া, সোনারপুর, বারাসত, রাজারহাটে। এ জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন করে ৫০০-১০০০ কিমি দীর্ঘ অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল বসাতে বুধবারই কলকাতা পুরসভার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুম্বইয়ের শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুকেশ অম্বানীর বৈঠকের পরে রিলায়্যান্স জিও-র ফোর-জি পরিষেবায় দ্রুত ছাড়পত্র দিতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। ফোর-জির পাশাপাশি আই আর সি টি সি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রেলের টিকিট বুকিং ব্যবস্থাও চালু করেছে এয়ারটেল। শর্মা জানান, তাঁদের যে-সব গ্রাহকের ‘এয়ারটেল মানি’ পরিষেবা রয়েছে, তাঁরা এ বার ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছাড়াই সাধারণ ফোনে আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে ঘরে বসেই সহজে রেলের টিকিট কাটতে পারবেন। আপাতত এ জন্য বাড়তি কোনও মাসুল নেওয়া হচ্ছে না।
|
হিন্দমোটর নিয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হিন্দমোটর সংস্থার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল সেই আইনি লড়াই। হিন্দমোটর সংস্থার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য ও বেসরকারি সংস্থা বেঙ্গল শ্রীরাম। সংস্থা চাঙ্গা করতে এই বেঙ্গল শ্রীরামকেই শিল্প প্রকল্প গড়তে নিজেদের জমি বিক্রি করে হিন্দমোটর। আইনি বাধায় তা অবশ্য এগোয়নি। এ দিকে, চলতি বছরের গোড়ায় সংস্থার পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়, মূল সংস্থা থেকে চেন্নাইয়ের কারখানা পৃথক করে হিন্দমোটর ফিনান্স নামে এক শাখা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বেঙ্গল শ্রীরামের মতে, চেন্নাইয়ের চালু কারখানা পৃথক হলে হিন্দমোটরের আর্থিক হাল আরও খারাপ হবে। সে ক্ষেত্রে প্রকল্প না-হলে বকেয়া টাকা উদ্ধার প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। একই যুক্তিতে রাজ্যও এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে। বৃহস্পতিবার এই লড়াইয়ের প্রথম ধাপে এগিয়ে থাকল রাজ্য ও বেঙ্গল শ্রীরাম। জমি বিক্রির টাকা বাবদ ২০০ কোটি টাকা হিন্দমোটরের কাছ থেকে পায় রাজ্য। আদালতে রাজ্যের আর্জি ছিল, পুনর্গঠন প্রকল্পে এই অর্থ দেখানো হোক। এ দিন আদালত শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়টি জানাতে হিন্দমোটরকে নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ খাতায় কলমে রাজ্যের পাওনা নথিবদ্ধ করতে হবে।
পুরনো খবর: আইনি জটিলতায় হিন্দমোটরের জমিতে বেঙ্গল শ্রীরামের প্রকল্প
|
ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে মোবাইল সংস্থা মাইক্রোম্যাক্সের দুই কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। মণীশ তুলি ও রাজেশ অগ্রবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাঙ্কোয়েট তৈরির ছাড়পত্র পেতে নয়াদিল্লি পুরসভার আধিকারিকদের ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তাঁরা। |