অনুমোদন ছাড়া পুর-সম্পত্তি ‘সস্তা’য় বিক্রি করার অভিযোগে ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। গত সোমবার অভিযোগ পাওয়ার পর ইংরেজবাজার থানার পুলিশ প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪০৯ জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে মামলা দায়ের করেছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নামে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ পড়েছে। তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা নরেন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, “বেআইনি কাজ করিনি। ইংরেজবাজার বিধানসভা উপ-নিবার্চনে ওঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেই আক্রোশে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “মন্ত্রী হয়ে উনি পেুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন। পুলিশ নরেন্দ্রনাথকে ধরলে মালদহ জেলা জুড়ে আগুন জ্বলবে। কংগ্রেস কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবেন না।”
২৮ জুন ২০০৬ থেকে ২০১০-এ ১৬ জুন পর্যন্ত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি। বর্তমান চেয়ারম্যান তথা পর্যটন মন্ত্রী জানান, পুর নিবার্চন ঘোষণার পর ‘কেয়ার টেকার’ চেয়ারম্যান ছিলেন নরেন্দ্র তেওয়ারি। সেই সময় রাজ্য সরকারের মত ছাড়া, বোর্ড অব কাউন্সিলরদের অনুমোদন না নিয়ে তিনি মালদহ শহরের কানির মোড়ে নিজের এক ঘনিষ্ঠকে পুরসভার বহুতল আবাসের নিচে ১৪১৫ বর্গফুট ঘর ২১ লক্ষ ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এর ফলে পুরসভার কম পক্ষে ২০ লক্ষ টাকার লোকসান হয়েছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসতেই ওঁকে দুই দফায় চিঠি দিয়ে ডাকা হয়। উনি কোনও সহযোগিতা করেননি। বাধ্য হয়ে পুর আইন মেনে পুলিশে অভিযোগ করেছি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮-২০০৯ সালে কানির মোড়ে বহুতল ভবনে ৩৫০০ হাজার টাকা বর্গফুট হিসাবে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছিল বোর্ড অব কাউন্সিলরসদের বৈঠকে। ওই ভবনের ১৪১৫ বর্গফুট এলাকা ১৫০০ টাকা প্রতি বর্গফুট বিক্রি করা হয়েছে বলে। নরেন্দ্রনবাবুর দাবি, “আমি পুর বৈঠক করে, আইন মেনেই ওই সব কাজ করেছিলাম। সব প্রমাণ হয়ে যাবে।” |