বানভাসি বাড়ল দু’জেলায়
গঙ্গায় জল বেড়েছে, ভোগান্তিও
ত ২৪ ঘন্টায় মালদহে গঙ্গার জল ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। নদীর জল এখন ২৫.২০ মিটার দিয়ে বইছে। এতে মালদহে গঙ্গা বিপদ সীমার উপরে থাকায় লাল সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে। গঙ্গার জল আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই মানিকচকের ভূতনি হীরানন্দপুরে কালুটোনটোলায় রিং বাঁধের ২০০-২৫০ মিটার পিছন দিকে প্রায় এক কিলোমিটার বালির বস্তা দিয়ে পাঁচ ফুট উঁচু দ্বিতীয় নতুন রিং বাঁধের কাজ করছে সেচ দফতর। দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার (গঙ্গা) অমরেশ সিংহ বলেন, “গঙ্গার জল আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। জলের তোড়ে রিংবাধ ভেঙে যেতে পারে। এই আশঙ্কায় নতুন আরও একটি রিং বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। কেবলমাত্র দিনে কাজ করলে কাজ শেষ করা যাবে না। কালুটোনটোলা, রাজকুমার টোলায় জেনারেটার দিয়ে রাতে কাজ হচ্ছে।” গঙ্গার জল বাড়ায় অসংরক্ষিত মনিকচকের উত্তর চন্ডীপুরে নন্দী টোলা, বাগিদান টোলা গিরিধারী টোলা, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জোতপাট্টা, রবিদাস টোলা, শিবেন টোলা, রামগড় এলাকায় বানভাসিদের দুর্ভোগ বেড়েছে। গ্রামে কোথায় হাঁটু জল, কোথাও আরও বেশি জল রয়েছে। গরু, মোষ ছেড়ে ও বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে বানভাসিরা উঁচু জায়গায় পৌঁছনোর চেষ্টা শুরু করেছে। এলাকায় ত্রাণ না পৌঁছানোয় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বিলির জন্য বিডিও, জেলাশাসকদের বলা হয়েছে। সবাই ত্রাণ পাবেন।” জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” অন্য দিকে, মঙ্গলবার ভোর ৪টা থেকে বুধবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, করণদিঘি সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে এ দিন রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারের বেশ কিছু দোকানপাট বন্ধ ছিল। রায়গঞ্জের মিলনপাড়া, অশোক পল্লি, রবীন্দ্রপল্লি সহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘক্ষণ জল দাঁড়িয়ে যায়। ইটাহারের চৌরাস্তা মোড়, থানাপাড়া,কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদের বিভিন্ন এলাকাতেও জল জমে যাওয়ায় বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েন। ইটাহার থেকে ডালখোলা পর্যন্ত বেহাল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে এ দিন বেলা ১১টায় রায়গঞ্জের দুর্গাপুর এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ ছাড়া ঠিকাদার সংস্থার দফতরে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন বাস মালিক ও ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টিতে তা বাতিল করা হয়। স্কুল-কলেজ হাজিরাও কম ছিল।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.