গঙ্গার জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। অসংরক্ষিত এলাকায় জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। এতে মালদহের মানিকচকের ভূতনির, হীরানন্দপুরের কামুটোলার কাছে রিংবাধ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বালির বস্তা ফেলে সেই বাঁধ বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। হীরানন্দপুরে কামুটোলায় রাতজেগে বাঁধের পাহারা শুরু করেছে গ্রামবাসীরা। এদিকে গঙ্গা নদীর জলস্ফীতিতে মানিকচকের উত্তর চন্ডীপুরের নন্দীটোলা, বাগিদানটোলা, গিরিধারীটোলার ৫০০ পরিবার এখন জলবন্দি হয়ে পড়েছে। |
জলবন্দি হয়ে পড়েছে মানিকচক ও গোপালপুর পঞ্চায়েতের জোতপাট্টা, রবিদাসপাড়া, রামনগর, শিবেনটোলা গ্রামের ২০০ পরিবার। অতিরিক্ত জেলাশাসক নীলকমল বিশ্বাস বলেন, “গঙ্গার জল বাড়ছে। আমরা নজর রাখছি। বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রিপলের চাহিদা রয়েছে। যে সমস্ত পরিবার জলবন্দি হয়ে আছে। তাঁরা ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আসলেই তাঁদের ত্রিপল দেওয়া হবে। এলাকাগুলিতে শুকনো খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” |
এদিকে জলবন্দি বনাভাসিরা ঘরের মধ্যে মাঁচা করে, কেউবা খাটের উপর খাট দিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার অমরেশ কুমার সিংহ বলেন, “উত্তরপ্রদেশ, বিহারের প্রচণ্ড বৃষ্টির জন্য গঙ্গার জল বাড়ছে। আরও জল বাড়বে। গঙ্গার জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পাসাপাশি ভূতনির বীরানন্দপুরের কাছে রিংবাঁধের অবস্থা খুব ভালও নয়।”
গতবছর হীরানন্দপুরে কামুটোলায় রিংবাঁধে ৫০০ মিটার ভেঙে গিয়েছিল। এতে বিরাট এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। এবছর ১০০ দিনের কাজে সেই ভাঙা বাঁধের পিছন দিয়ে দুই কিলোমিটার মাটি ও বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। গঙ্গার জল বাড়তে বাড়তে সেই বাঁধের ধাক্কা মারছে। গঙ্গা নদীর জলে যা গতি তাতে চরম বিপদ সীমায় গঙ্গার জলস্তর পৌঁছলে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এ দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “হীরানন্দপুরে বাঁধ কেটে জল ঢোকানোর জন্য ঝাড়খন্ডের কিছু দুষ্কৃতীরা চেষ্টা করছে বলে খবর পেয়েছি। তারা বাঁধ যাতে না কাটতে পারে, সেই বিষয়ে পুলিশকে ভাল করে নজরদারি করতে বলা হয়েছে।” |