স্কুল ছুটির পরে বছর এগারোর মেয়েটি একাই হেঁটে ফিরছিল বাড়িতে। পরিচিত এক যুবক সঙ্গ নেয়। বলে, সে-ও যাচ্ছে একই দিকে। বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। গল্প করতে করতে এগোচ্ছিল দু’জন। যুবকের কথা মতো কিছুটা দূরে ফাঁকা জায়গায় চলে যায় মেয়েটি।
সেখানেই অপেক্ষা করছিল বিপদ। আরও দুই যুবকের সঙ্গে মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পরিচিত ওই যুবকের বিরুদ্ধেও। মঙ্গলবার বর্ধমানের কুলটির এই ঘটনায় অমিত কেউরা, গুড্ডু সাহানি ও রমেশ বাদ্যকর নামে তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, বহু ক্ষেত্রে পরিচিত কোনও লোকই ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি প্রথমে তাকে সন্দেহ করে না। সুযোগ নেয় পরিচিতেরা।
পরিচিত ব্যক্তির হাতে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বসিরহাটেও। প্রতিবেশী এক যুবককে ‘দাদা’ বলে ডাকত সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মেয়েটিকে তামিলনাড়ুর যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ‘দাদা’কে। উদ্ধার হয়েছে নাবালিকাও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১০ জুলাই অহিদুল ইসলাম ওরফে মিন্টু নামে ওই যুবকের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়েছিল কিশোরীটি। তার পর থেকে বেপাত্তা। বহু খোঁজাখুঁজির পরে ২৫ জুলাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাড়ির লোকজন। পুলিশ গ্রেফতার করে মিন্টুকে। তাকে জেরা করেই জানা যায়, মেয়েটিকে সে নিয়ে গিয়েছিল তামিলনাড়ুতে। উদ্ধার হওয়ার পরে মেয়েটি পুলিশকে জানায়, তামিলনাড়ু থেকে তাকে বাসে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বেঙ্গালুরুতে। কান্না শুনে বাস থেকেই তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি মেয়েটিকে নিয়ে যান পুলিশের কাছে। তার ঠাঁই হয় একটি হোমে। পরে বসিরহাটের পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। আরও দুই অভিযুক্ত আলম মণ্ডল এবং সাদ্দাম মণ্ডলের খোঁজ চলছে। বুধবার নাবালিকাকে বসিরহাট এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তার গোপন জবানবন্দি নেন।
|